আরসিবি: ৫ উইকেটে ২১৩ (২০ ওভার)
সিএসকে: ৫ উইকটে ২১১ (২০ ওভার)
বৈভব সূর্যবংশীর সঙ্গে পাল্লা দিতে যেন মাঠে নেমে পড়েছেন আয়ুষ মাত্রে। মুম্বইয়ের ১৭ বছরের ক্রিকেটার আয়ুষের দাপটে প্রায় অসাধ্য কাজ করে ফেলেছিল সিএসকে। কিন্তু দুরানে হেরে ম্যাচ হাতছাড়া হল। একইসঙ্গে কিছুট হলেও চাপে পড়ে গেল কেকেআর।
আগে কেকেআরের কথাই বলি। আরসিবি ও সিএসকে ম্যাচে হঠাৎ করে কেন রাহানেরা ঢুকে পড়লেন। এই প্রশ্নটা উঠে আসছে। তার কারনও আছে। সিএসকের বিরুদ্ধে জিতে আরসিবি ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট করে একনম্বরে পৌঁছে গেল। এখনও তাদের তিন ম্যাচ বাকি। পরের তিন দল হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট), গুজরাট টাইটান্স (১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট), পাঞ্জাব কিংস (১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট)। পাঁচ নম্বরে আছে দিল্লি ক্য়াপিটালস (১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট)। সেখানে কেকেআর ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। কেকেআর বাকি চার ম্যাচ জিতলে ১৭ পয়েন্টে যাবে। কিন্তু তার আগে প্রথম চর দল কোথায় গিয়ে শেষ করে, সেটাই এখন দেখার। একটা ব্যাপার নিশ্চিত ছিল যে ১৬ পয়েন্টের ঘরে ঢুকলে প্লে অফ খেলতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ১৬ পয়েন্টেও হবে ন। আরও সামনের দিকে দলগুলি চলে যবে। তা হলে..! আরসিবি হারলে হয়তো এতট চাপ ছিলন। কিন্তু সেটা আর হল কোথায়। তাই রাহানেদের নিয়ে সুখের কথা বলা যাচ্ছে না।
এবার ম্যাচে ফিরে আসি। বিরাট কোহলিরা টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুন করেছিল। পাওয়ার প্লে-তে সিএসকে-কে চাপে ফেলে নিজেরা গড়গড়িয়ে চলতে থাকে। দুই ওপেনার বিরাট কোহলি (৬২) ও জ্যাকব বেথেল (৫৫) জুটি দলকে টেনে নিয়ে যান। প্রথম উইকেটে ওঠে ৯৭ রান (৯.৫ ওভার)। কিন্তু তারপর বোলিং আক্রমনে ধোনি পাথিরানাকে নিয়ে আসতেই ছন্দ কেটে যায় আরসিবির। একসময় ৫ উইকেটে ১৫৭ রানে তার দাঁড়িয়ে পড়ে। কত রানে যেতে পারবেন বিরাটরা। এই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গায়ানার ক্রিকেটার শেফার্ডের দাপটে ব শেষ হয়ে যয়। জয়ের জায়গা থেকে হারিয়ে যায় সিএসকে। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি শেষ ১৪ বলে আরসিবি তোলে ৫৭ রান। এর মধ্যে শেফার্ডের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৫৩ রান। ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউ্ন্ডারি মেরে আরসিবিকে দুশো পার করে দেন। এই অদ্ভুত কান্ড ঘটালেন খলিল আমেদ। তিনি ১৯ নম্বর ওভারে দিলেন ৩৩ রান। পাথিরানা শেষ ওভারে দিলেন ১৭ রান। খলিল ৩ ওভারে দেন ৬৫ রান। একর দায়িত্বে দলকে পুঁতে দেওয়ার পক্ষে তিনি যথেষ্ট ছিলেন। শেফার্ডের ব্যাট ঝলসে না উঠলে সিএসকের সামনে টার্গেট ১৭০ থেকে ১৮০ রানের মতো হত।
তবু সিএসকে দারুনভাবে পাল্টা দিল। শুরুতে দুউইকেট চলে গেলেও মাত্রে ও জাদেজ জুটি দলকে দারুনভাবে টানলেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে উঠল ১১৪ রান। মাত্রে ৪৮ বলে করলেন ৯৪ রান। যার মধ্যে চিল ৯টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি। বৈভবের ব্যটিং দেখে ভারতীয় ক্রিকেট মহল উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে। মাত্রে সেভাবেই নিজেকে মেলে ধরলেন। শুরুর দিকে দলে জায়গা না পেলেও পরে দলে ঢুকে পড়েন। কিন্তু মাত্রের এই ইনিংস দাম পেল না। একদিকে জাদেজার (৪৫ বলে অপরাজিত ৭৭) লড়াইও দান পেল না। মাত্রে আউট হন ১৬.২ ওভারে। তখন দলের রান ১৭২। এনগিডির পরের বলেই আউট হন ব্রেভিস। ১৬. ৩ ওভারে চার উইকেটে ১৭২। এনগিডি এই ওভারে ৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান। তারপর ভুবনেশ্বরেরএক ওভারে ২৫ রান এলেও তা কাজে এল না। ধোনি ১২ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। যশ দয়াল শেষ ওভারে ইয়র্কারে ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দেন। শিভম দুবে একটি ওবার বাউন্ডারি মারলেও জাদেজা কিছুই করতে পারলেন না। সিএসক আটকে গেল ২১১ রানে। ম্যাচের শেষ বলে একটি বাউন্ডারি মারলে সিএসকে ম্যাচ জিতে যায়। কিন্তু সেই বলে একরানের বেশি না আসায় আরসিবি দুরানে ম্যাচ জিতে যায়। ম্যাচের সের হন শেফার্ড। হওয়ারই কথা। তিনি বিধ্বংসী ইনিংস না খেললে আরসিবি হেরেই হয়তো মাঠ ছাড়ত।