সোজাসুজি নয়, ঘুরিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থের সমালোচনা করলেন রবি বিষু।
ধোনিদের কাছে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ হেরে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ঋষভ পন্থ। অনেকে ভেবেছিলেন, খেলা শেষে হয়তো আবার পুরনো ছবি ভেসে উঠবে। মাঠের মধ্যেই দলের অন্যতম কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কথা শুনতে হবে পন্থকে। কিন্তু তেমন কিছুই হল না। গোয়েঙ্কা মাঠে এলেন। হাসি মুখে ঋষভের সঙ্গে কথাও বললেন। কি কথা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। পরিবেশ ঠান্ডাই মনে হল।
তা হলে ঋষভ এতটা হতাশ কেন! এখানেই শেষ নয়। খেলার শেষে ধোনি এসে তাঁর সঙ্গে কথাও বললেন। অবাক লাগল ধোনির চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারলেন না পন্থ। কেন! উত্তর নেই। পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে একবারও তাঁকে চেনা ছন্দে দেখা গেল না। ম্যাচ আগেও হেরেছেন। সেদিন খেলা শেষে হাসতে দেখা গিয়েছিল। তা হলে এবার কেন নিজেকে খোলসের মধ্যে ঢুকিয়ে নিলেন! তবে কি চালে ভুল করেছেন ভেবে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল পন্থের!
হতে পারে। লখনউয়ের ১৬৬ রানের পিছনে ছুটতে গিয়ে সিএসকে একসময় ১৫ ওভারে তোলে ৫ উইকেটে ১১১ রান। জিততে হলে পাঁচ ওভারে করতে হবে ৫৬ রান। কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। বিশেষ করে স্পিনারদের সামলাতে হিমশিম অবস্থা চেন্নাই ব্যাটসম্যানদের। এবং তা প্রমানও করে দিয়েছিলেন লখনউ স্পিনাররা। কিন্তু ডেথ ওভারে এসে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ পেসারদের উপর বেশি ভরসা রাখলেন। এবং সেখানেই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গেল। তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে গেলেন ধোনিরা। খেলার শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসে দলের লেগ স্পিনার রবি বিষু বলছিলেন, আমার কোটার এক ওভার বাকি ছিল। কেন যে আমাকে দিয়ে বল করানো হল না তার ব্যাখ্যা নেই। মাহিভাইয়ের সামনে আমি দাঁড়াবার সুযোগ পেলাম না। আশা করেছিলাম, ঋষভ আমাকে দিয়ে এক ওভার করিয়ে নেবে।
কথায় ক্ষোভ থাকলেও সোজাসুজি সমালোচনা করলেন না রবি। বলছিলেন, উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে পুরো মাঠ দেখতে পাচ্ছিল ঋষভ। হয়তো ওর মনে হয়েছিল, স্পিনারদের থেকে পেসারদের দিয়ে বোলিং করালে উইকেট তুলে আনা যাবে। তাই আমার কথা ওর মাথায় আসেনি। ভেবেছিলাম, মাহিভাইয়ের সামনে আমাকে বল করতে দেওয়া হবে। তাই কিছুটা হলেও অবাক লেগেছে।
রবির এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে ঋষভের কাছ থেকে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল রবি তিন ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট পেয়েছিলেন। তাঁকে দিয়ে আর একটা ওভার কেন করালেন না। উত্তরে ঋষভ বলেন, রবির কথা আমার মাথায় ছিল। ভেবেছিলাম, ২০ নম্বর ওভারে ম্যাচ কিছুটা ছোট হয়ে য়াবে। তখন রবিকে আক্রমনে এনে চেন্নাইকে চাপে ফেলব। শেষ ওভার ওকে দিয়ে করাবো বলে মাহিভাই উইকেটে আসার পরও রবিকে আনিনি। কিন্তু শেষ ওভারে ওদের দরকার ছিল পাঁচ রান। তাই রবির বদলে আভেসকে নিয়ে আসি। তিন বল বাকি থাকতে ওরা ম্যাচ বের করে নিল।
রবির কথায় যুক্তি থাকলেও ঋষভকে নিয়ে তা বলা যাচ্ছে না। এটা ঘটনা যে শেষ ওভার কেন একজন স্পিনারকে নিয়ে আসা হবে। আর যখন ধেনি মাঠে আসেন, তখন চেন্নাই চাপে পড়ে গিয়েছে। কেউ ভাবতে পারেননি, সেই জায়গা থেকে ম্যাচ বের করে নেবে চেন্নাই। তাই ঋষভের উচিত ছিল, রবিকে দিয়ে টানা বল করানো। সেই সময় দুবে বা ধোনির উইকেট তুলে নিতে পারলে লখনউয়ের জয় নিশ্চিত হয়ে যেত। আইপিএলে অনেকদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঋষভ। লখনউয়ে আসার আগে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ছিলেন। চেন্নাই ম্যাচ বুঝিয়ে দিল, নেতা হিসেবে ঋষভ এখনও পাকাপোক্ত হননি। সময় লাগবে। এই সব ভুল হয়তো আগামিদিনে তাঁকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। কারন, রবি ভুল বলেননি। ভুল ছিল ঋষভের ভাবনায়। তাই ম্যাচ হাতছাড়া হল।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের