একদিকে ফাইনালে ওঠার আনন্দ। অন্যদিকে জার্মানির অভিশাপ থেকে মুক্তি। তার উপর উপরি পাওনা হল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর গোল। সেই সঙ্গে জার্মানির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার আনন্দ তো আছেই। সবমিলিয়ে বুধবারের রাতটা হয়ে গেল পর্তুগালের। ২-১ গোলে জার্মানদের হারিয়ে নেশনস লিগের ফাইনালে পেৌছে গেলেন পর্তুগিজরা। অপর সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে স্পেন-ফ্রান্স। জয়ী দলের সঙ্গে রবিবার খেলতে নামবেন রোনাল্ডোরা।
আন্তর্জাতিক ফুটবল জীবনে ৪৭টি দেশের বিরুদ্ধে খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সব দলের বিপক্ষে জিতবেন এমনটা হওয়া অসম্ভব। ব্যতিক্রম ছিল জার্মানি। যেখানে চারবার জার্মানদের বিরুদ্ধে খেলেও একবার জিততে পারেননি। তাই মনের মধ্যে একটা হতাশা লুকিয়ে ছিল সিআর সেভেনের। বুধবার রাত সবকিছু হিসাব চুকিয়ে দিতে পেরেছে পর্তুগাল। রোনাল্ডো যেমন চারবার খেলে জিততে পারেননি। উল্টোদিকে পর্তুগাল টানা পঁাচ ম্যাচ না জেতার দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। শেষবার পর্তুগাল জিতেছিল ২০০০ সালে ইউরোতে। যেখানে ব্যবধান হয়েছিল ৩-০। তারপর এক এক করে ২০০৬ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০০৮, ২০১২ ও ২০২০ ইউরো-তে পর্তুগাল হেরে বসেছে জার্মানির কাছে। জার্মানির মাটিতে পর্তুগাল শেষবার জিতেছিল ১৯৮৫ সালে।
জার্মানি প্রথম গোল করে এগিয়ে
জার্মানির গোলদাতা ফ্লোরিয়ান।
জা। ৪৮ মিনিটে জশুয়া কিমিখের পাশ থেকে অনায়াসে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফ্লোরিয়ান ভির্টত্্স। তখন পর্তুগালের অতি গোঁড়া সমর্থক ভেবে নিয়েছেন সব আশা শেষ। কিন্তু পর্তুগাল খেলার রাশ নিজেদের দখলে নিতে থাকে ভিতিনিয়া নামার পর। গোল খাওয়ার দশ মিনিট পর ভিতিনিয়াকে নামান পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। যদিও প্রথম গোল পায় পর্তুগাল ৬৩ মিনিটে। ফ্রান্সিসকো কনসেইসাও ৬৩ মিনিটে গোল দিয়ে দলকে সমতায় ফেরান। তিনিও নেমেছিলেন বদলি হিসেবে। জয়সূচক গোলটি করেন রোনাল্ডো। ৬৮ মিনিটে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে রোনাল্ডোর গোল হয়ে গেল ১৩৭। সেই সঙ্গে জার্মানির বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বয়সের গোলদাতা হিসেবে উঠে এলো তঁার নাম। নেশনস লিগের ফাইনালে ওঠার আনন্দ নিশ্চয় আছে। পাশাপাশি জার্মানির অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার দরুন বেজায় খুশি কোচ রবার্তো। তিনি বলেই ফেলেন, “নিঃসন্দেহে দল ফাইনালে উঠেছে বলে আনন্দ হচ্ছে। তবে তারচেয়েও বেশি আনন্দ পাচ্ছি, দীর্ঘদিন পর আমরা জার্মানিকে হারাতে পারলাম।” রবিবার ফাইনাল।