ইচ্ছা থাকলেও যেন উপায় নেই। ঐতিহ্যের আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) আবারও সিনিয়র পর্যায়ে হতে চলেছে। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield)। কিন্তু সেখানেই অনিশ্চিত মহমেডান স্পোর্টিং(Mohammedan SC)। দেখা যাবে না কলকাতা ফুটবলের নতুন শক্তি ডায়মন্ডহারবার এফসিকেও(DHFC)। কারণ একটাই ফুটবলাররা চলে গিয়েছে। আর এত কম সময়ে আইএফএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে তার ফলেই ইচ্ছা থাকলেও আইএফএ শিল্ডে খেলা সম্ভব হচ্ছে না কলকাতার দুই ক্লাবের। একইসঙ্গে এখনও অনিশ্চিত মোহনবাগান সুপারজায়ান্টও।
মহমেডান স্পোর্টিং(Mohammedan SC) আগামী শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তাদেরকে যে সময় চিঠি দেওয়া হয়েছে সেই সময় নাকি ইতিমধ্যেই ফুটবলাররা চলে গিয়েছে। তাদেরকে এত কম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে আনারও কোনও উপায় নেই। বিশেষ করে বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে তাদের। যেটা এই মুহূর্তে একেবারেই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন কর্তারা। অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার যে খেলবে না তা স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছে।
তবে এর জন্য কিন্তু আইএফএ-কে পুরোপুরি দোষারোপ করতে চাইছে না তারা। কারণ ফেডারেশেন তাদের ফুটবল ক্যালেন্ডারের মধ্যে সময় দেওয়ার পরই আয়োজনের জন্য এগিয়েছে বঙ্গ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। কিন্তু ডায়মন্ডহারবার এবং মহমেডানের পক্ষে নামাটা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না।
ডায়মন্ডহারবার এফসির(DHFC) সচিব মানস ভট্টাচার্য জানান, “আমাদের ইচ্ছা থাকলেও এবার আইএফএ শিল্ড খেলা হচ্ছে না। তার কারণ আমাদের সব ফুটবলাররাই চলে গিয়েছে ছুটিতে। তাঁর কারণ আমরা জানিনা আইলিগ কবে হবে। কতদিন আমরা ফুটবলারদের এখানে বসিয়ে রাখব। আইলিগের কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেই কারণেই তো ফুটবলাররা আপাতত ফিরে গিয়েছে। তাদের আনতে গেলে বাড়তি ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। কোথায় পাব আমরা। এমন পরিস্থিতিতে আইএফএ শিল্ড হচ্ছে। অবশ্য আইএফএ-রও কিছু করার নেই। ফেডারেশনের তরফ থেকে তারা স্লট পাওয়ার পরই আয়োজন করতে পারছে। এবার শিল্ড হচ্ছে সিনিয়রদের। অত্যন্ত ভালো ব্যপার। কিন্তু আমাদের খেলার উপায় নেই”।
এরইরকম কথা মহমেডান কর্তাদেরও। কামারউদ্দিন জানাচ্ছিলেন, “খেলাটা এই মুহূর্তে খুবই কঠিন। কী করে খেলব। আমাদের ফুটবলারদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি। কয়েকদিন আগে আইএফএ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্তত কিছুটা সময় নিয়ে যদি জানাত নিশ্চই খেলতাম আমরা। তবুও একটা চেষ্টা চালাচ্ছি। আগামী শনিবারের মধ্যে আশা করছি জানিয়ে দিতে পারব। আইএফএ কর্তার সঙ্গেও কথা হয়ছে। কয়েকটা দিন একটু সময় চেয়েছি”।
আইএফএ শিল্ড সিনিয়র পর্যায়ের হয়ে ফিরলেও, সেখানে কলকাতার দুই বড় দল নেই। মোহনবাগানও অনিশ্চিত। এই নিয়েই এখন হৈচৈ বঙ্গ ফুটবল মহলে।