আসন্ন বিশ্বকাপে ইরানের খেলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় মনে হয়না ইরানকে খেলার ছাড়পত্র দেবে ফিফা। অতীতে দেখা গিয়েছে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া দেশকে ফিফা খেলা থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। যেমন রাশিয়া ও অতীতের যুগোস্লাভিয়া। তাই ইরানের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে বিশাল সংশয় তৈরি হল।
গত মাসে এশিয়া মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র জোগাড় করে নিয়েছে ইরান। কিছুদিন আগে থেকে ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ইরান জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধ যখন দু-দেশের মধ্যে চরমে তখন আমেরিকা আঘাত হেনেছে ইরানের ওপর। তিনটে পরমানু কেন্দ্রে আক্রমণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান। এই নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগার অপেক্ষায় যেন প্রহর গুনছে সারা বিশ্ব। এমন আবহের মধ্যে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। যদিও শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, কানাডা ও মেক্সিকোতেও বিশ্বকাপ হবে। তিনটে দেশ যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করছে। বেশি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ১০৪টা ম্যাচের মধ্যে ৭৮টি। বর্তমান ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর সঙ্গে দারুন সখ্যতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই জায়গায় মনে হয়না আমেরিকা থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাববে ফিফা। বরং শাস্তির খঁাড়া নেমে আসতে পারে ইরানের উপর। যেহেতু তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। যদি ফিফা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাহলে টানা চতুর্থবার বিশ্বকাপ খেলা থেকে বঞ্চিত হবে ইরান।
অতীত ইতিহাস বলছে, যুদ্ধে জড়ানো দেশকে ফিফা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোয় রাশিয়াকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা সঙ্গে উয়েফাও। নব্বই দশকে বলকান যুদ্ধের কারণে যুগোস্লাভিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সমস্যা দঁাড়িয়েছে অন্য জায়গায়। যদি শেষমেশ ফিফা ইরানকে খেলার জন্য সবুজ সঙ্কেত দেয়ও তাহলে তাদের সমর্থকরা ঢুকতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রে। যেহেতু আমেরিকা ১১ দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। যারমধ্যে পড়ে ইরান। ফুটবল দল ও সাপোর্ট স্টাফদের ক্ষেত্রে হয়তো নিয়ম শিথিল করতে পারে আমেরিকা। বাকি দুটো আয়োজক দেশ মেক্সিকো ও কানাডায় এমন নিয়ম জারি করেনি ইরানের উপর। তাই ওই দুটো দেশে খেলা ফেললে ইরানের সমর্থকরা খেলা দেখতে যেতেই পারেন। অন্যদিকে যদি দলটা নক-আউটে চলে যায় তাহলে আবার সমস্যা বাড়বে। কারণ নক-আউটের বেশিরভাগ খেলা হবে যুক্তরাষ্ট্রে। তখন ইরানের সমর্থকরা কি করবেন? যাইহোক বিশ্বকাপের সময় যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে জটিলতা।