ফুটবলে মোহনবাগানের কাছে দঁাড়াতে পারে না ঠিকই। অ্যাথলেটিক্সে আপাতত সবুজ-মেরুনকে পেছনে ফেলে দিল ইস্টবেঙ্গল। বুঝিয়ে দিল, সিনিয়রদের ফুটবলে মার খেতে পারে কিন্তু অ্যাথলেটিক্সে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবকে পেছনে ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
শনিবার ও রবিবার হয়ে গেল রাজ্য জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স মিট। যেখানে জেলাগুলির মধ্যে নদীয়া এগিয়ে। রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার তরফ থেকে সরকারীভাবে না জানানো হলেও যা খবর পাওয়া গেল তাতে ১৮০ পয়েন্ট পেয়েছে নদীয়া জেলা। দ্বিতীয় স্থানে আছে জলপাইগুড়ি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। ক্লাবগুলোর মধ্যে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় স্থানে আছে মোহনবাগান। তৃতীয় স্থানে বালি প্রতিভা। গত কয়েক বছর বালি প্রতিভা সেভাবে রাজ্য মিটে কোনও প্রভাব ফেলতে পারছিল না। কিন্তু এবার সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে
রেকর্ড গড়ার অন্যতম নায়ক মেঘাদ্রি সাহা।
জুনিয়র মিট সাধারণত হয় অনূ্র্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ বয়সের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। নদীয়া জেলার পরেই পয়েন্টের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট ১৪৯। তারপর রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা। যেখানে তারা পেয়েছে ১৩১ পয়েন্ট। মোহনবাগান রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ১১০ পয়েন্ট পেয়েছে। আসলে এইভাবে কোনও দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়না। নিয়ম হল সিনিয়র স্তরে মিট হয়ে যাওয়ার পর, জুনিয়রদের রেজাল্ট নিয়ে যোগ করে তবেই কোন দল চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স হল তা ঘোষণা করা হয়। তাই রাজ্য সংস্থার তরফ থেকে সরকারীভাবে কোনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি। বাংলার জুনিয়র মিটে প্রায় ৯টা নতুন রেকর্ড হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে অনূর্ধ্ব-১৪ ট্রায়োথেলন বি বিভাগে সাধন ঘোষ, একই বিভাগে মেয়েদের আইশন্যা প্রিয়দর্শী, শটপুটে দীপ্তি রাজবংশী, মেঘাদ্রি সাহা হেপ্টাথেলনে রেকর্ড গড়েছেন। আইশন্যা হলেন প্রখ্যাত অ্যথলিট সঞ্জয় রাইয়ের মেয়ে।
শটপুটে রেকর্ড গড়লেন দীপ্তি রাজবংশী।
তবে এই মিটকে ঘিরে সমস্যার অন্ত ছিল না। বিশেষ করে কম্বাইন্ড ইভেন্টগুলো নিয়ে। যুবভারতী ও সাই কেন্দ্রে এবারের মিট হয়েছে। কম্বাইন্ড ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় বারবার অ্যাথলিটদের এক মাঠ থেকে আর এক মাঠে যাওয়ার জন্য দারুন সমস্যা হয়। যুবভারতীতে দৌড় বা জাম্পিং ইভেন্টগুলো হলেও থ্রোয়িং ইভেন্টগুলো হচ্ছিল সব সাইতে। ফলে খুদে অ্যাথলিটরা দিশেহারা হচ্ছিলেন কখন কোথায় যাবেন। এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। যদিও রাজ্য সংস্থার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৫০জনের বেশি সাই মাঠে ভিড় জমানো যাবে না বলে নাকি নির্দেশ ছিল। প্রশ্ন হল, সাইয়ের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশ দিলেন কারা? একটা মিট করার যখন অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তখন কী গুণে গুণে অ্যাথলিটদের পাঠানো সম্ভব? মাঠে ভিড় হলে ক্ষতি কি? তাই অনেকে জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে যে রাজ্য সিনিয়র মিট হবে সেখানে যেন এমন না হয়। তাহলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।