কী বলবেন, বেঁচে গেল কেকেআর? বাঁচিয়ে দিল বৃষ্টি? যে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্যাচে ১১২ রান তুলতে গিয়ে হামাগুড়ি দিতে দিতে ৯৫ রানে গুটিয়ে যায় যারা, তারা ২০২ রান তুলে ম্যাচ জিতবে, এ আশা কি কেকেআরের অতি বড় সমর্থকও করতে পারছিলেন? বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের যা হাল দেখা যাচ্ছে, তারপর?
ইডেনে বৃষ্টি যখন নামল তখন ২০২ রান তাড়া করতে নেমে ১ ওভারে ৭ রান তুলেছে নাইটরা। না তখনও অবশ্য কোনও উইকেট হারায়নি। কিন্তু ঝড় বৃষ্টির দাপট এতটাই যে ম্যাচ আর শুরু করাই গেল না। ভেস্তে গেল কলকাতা-পঞ্জাব ম্যাচ। দু দলই পেল ১ পয়েন্ট করে। এই একটা পয়েন্ট পাওয়ায় প্লে অফের দৌড়ে এখনও টিকে রইলেন রাহানেরা।
তার আগে কেকেআর বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন পঞ্জাবের দুই তরুণ ওপেনার প্রভসিমরন সিং ও প্রিয়াংস আর্য। দুজনেই অর্ধশতরান করলেন। বড় নজিরও গড়ে ফেললেন প্রভসিমরন। পঞ্জাব কিংসের প্রথম আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে করলেন এক হাজার রান। দুই ওপেনার ১১.৫ ওভারে ১২০ রান যোগ করে ফেললেন। কেকেআরের কোনও বোলারই থামাতে পারেননি এই দুই তরুণকে। এখান থেকে ২০১ কেন, ২২০ বা ২২৫ রান করা উচিত ছিল পঞ্জাবের। হল না কারণ পরের দিকে কিছুটা রাশ টেনে ধরতে পেরেছিলেন কেকেআর বোলাররা।
কেন কেকেআরের এই হাল? কারণ তো অনেক। প্রশ্ন অনেক। ভুল তো শুরু থেকেই। কেন ওপেনার ফিল সল্টকে ধরে রাখা গেল না? কেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হল? কেন বরুণ-নারিনের পর ভাল তৃতীয় স্পিনার নেই? এটা যে বেশ ভোগাচ্ছে। তাছাড়া রাসেল-নারিনের ছায়া থেকে কবে বেরিয়ে আসবে কেকেআর? রভমান পাওয়েলকে তাহলে কেন নেওয়া হল? টি টোয়েন্টির প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ককে কি বাইরে বসে শুধু খেলা দেখেই যেতে হবে? এইসব প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর যবে খুঁজে পাবে কেকেআর তখনই ফিরবে হাল, তার আগে নয়।