ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর ব্যাটিং গভীরতা কমিয়ে প্রথম একাদশ বাছাই করতে চান না। তাই দলে আট ব্যাটসম্যান রেখে খেলতে নামার কথা ভাবেন। ছয় ব্যাটসম্যানের সঙ্গে দলে দুজন অলরাউন্ডার হলেও চলবে। এই অবস্থায় তিনি কী দলে দুই স্পিনার নিয়ে খেলতে রাজি হবেন! তবে হেডিংলেতে হারের পর এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দলের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার দলে দুই স্পিনার নিয়ে খেলতে নামার কথা বলছেন। তাঁদের ভাবনা গম্ভীরের কাছে কতটা গুরুত্ব পাবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
এজবাস্টনে ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরু ২ জুলাই। তাই হাতে অনেকটা সময় আছে। এর মধ্যে দলে কতটা বদল হতে পারে বা আদৌ বদল হবে কিনা, তা নিয়ে ভাবনার সময় পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।
আরও খবর এটাই যে সেখানে বুমরার সার্ভিস ভারতীয় দল পাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল ও কোট গম্ভীর বলেই দিয়েছেন, আমরা এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। বুমরার সঙ্গে এনিয়ে কথা বলতে হবে। মনিটরিং করা চলছে। তবে তিনটি টেস্টের বেশি বুমরা খেলবে না। রবি শাস্ত্রী বলেছেন, বুমরা এজবাস্টনে না খেললে ইংল্যান্ড সেখানেই সিরিজ ২-০ করে ফেলবে। তাই বুমরাকে দরকার। তবে রবির ধারনা ভারতীয় দল এজবাস্টনে বুমরাকে না খেলিয়ে লর্ডসের জন্য অপেক্ষা করবে। আর এক প্রাক্তন দীনেশ কার্তিকের ধারনা, এজবাস্টনে বুমরাকে বাইরে রেখে ভারত খেলবে।
এই দোলাচালে অবস্থার মধ্যে গাভাসকর বোমা ফাটিয়ে দিলেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে হুঁশিয়ারি দিলেন যে অফশনাল প্র্যাকটিস না রেখে মাঠে গিয়ে ফিল্ডিংয়ে জোর দিতে। প্রথম টেস্টে ভারতীয় ফিল্ডাররা সাতটি ক্যাচ ফেলেছে। ম্যাচ সেখানেই হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তাই হতাশ গাভাসকর বলছেন একসপ্তাহ সময় থাকলেও সবাইকে মাঠে নামতে হবে। ফিল্ডিংয়ে বাড়তি সময় দিয়ে নিজেদের ভুলগুলি শুধরে নিতে হবে। না হলে আবার সমস্যায় পড়বে ভারত।
গাভাসকর অবশ্য বুমরা নিয়ে কথা বলতে চাননি। তিনি হেডিংলেতে বুমরার পারফরম্যান্স দেখার পর সঞ্জনা বলেছিলেন বুমরাকে গিয়ে বলবে ও যেন পাঁচটি টেস্ট খেলে দেয়। সনি টিভিতে কাজ করন বুমরার স্ত্রী সঞ্জনা। তিনি সেদিন মাঠে গিয়ে বুমরাকে সেই বার্তাও দেন। কিন্তু ম্যাচ হারার পর গম্ভীর পরিস্কার করে দিয়েছেন, বুমরাকে তিনটি টেস্টের বেশি খালাবার কথা ভাবছে না ভারত। তাই তাঁর আশা ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তবে গাভাসকর সেদিকে না তাকিয়ে এজবাস্টনে কুলদীপ যাদবকে দলে চাইছেন। তাঁর সঙ্গে এব্যাপারে সহমত পোষন করেছেন সঞ্জয় মঞ্জেরেকর। তিনিও বলছেন, এজবাস্টনে স্পিনাররা কিছুটা হলেও বাড়তি সুযোগ পাবে। তাই কুলদীপকে সেখানে দরকার। তাঁদের মতে শার্দুল ঠাকুরকে বসিয়ে কুলদীপকে নিয়ে আসা হোক।
এখন দেখার বিষয় গম্ভীর এ নিয়ে কি চিন্তা ভাবনা করেন! কারন সাত নম্বরে শার্দুলের জায়গায় নীতিশ আসতে পারেন। তা হলে ব্যাটিংয়ে গভীরতা ঠিক থাকবে। কিন্তু কুলদীপ দলে এলে সেটা আর হচ্ছে না। এমন ভাবনা কি গম্ভীর ভাবতে পারবেন! মনে হয় না। তবে সময় আছে। দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।