বিশ্ব ফুটবল যদি দেখে থাকে তারুন্যের জয়। যেখানে লামিনে ইয়ামাল দেখিয়ে দিলেন, কীভাবে ফুটবলকে শাসন করতে হয়। পাশাপাশি এও দেখা গেল, নক্ষত্রপতন। যঁারা গত কয়েক বছর আগেও বিশ্ব ফুটবলকে শাসন করেছেন তাঁরাই কিনা চলে গেলেন পর্দার আড়ালে। দুই তারকাই আন্তঃমহাদেশীয় খেলায় হার মানলেন মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে। হেরে বিদায় নিতে হলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আল নাসের ও লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে।
খেলার শেষে দুই তারকার চোখ-মুখ বুঝিয়ে দিচ্ছিল, তঁারা কতটা বিধ্বস্ত। কতটা দুঃখ, কষ্টকে অবলম্বন করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। তঁাদের দুজনের বয়সের দিকে একবার তাকান। রোনাল্ডোর বয়স যেখানে ৪০, ৩৮ বছর বয়স সেখানে মেসির। অথচ দুজনের রক্তে এখনও কৈশরের তেজ। এখনও তারুন্যের জোয়ারে যন ভাসছেন। জেড্ডার কিং আবদুল্লাই স্পোর্টস সিটিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ফিরতি লিগের ম্যাচ ছিল। যেখানে জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্তেলের কাছে কিনা ৩-২ গোলে হেরে বসল। সেই হার বিদায় ঘটাতে বাধ্য করল আল নাসেরকে। অথচ ৯৫ মিনিটে সহজ গোল করার সুযোগ চলে এসেছিল রোনাল্ডোর সামনে। কাওয়াসাকির গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ তারকা। তাই হতাশাকে বোধহয় লুকিয়ে রাখতে পারেননি। ম্যাচের শেষে শূন্যে তাকিয়ে তাই বিড়বিড় করছিলেন। আরও দুঃখজনক ঘটনা হল, আল নাসেরে সই করার পর (২০২২ সালে) কোনও বড় টুর্নামেন্টে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। এই মরশুমেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। খেলার শেষে তাই রোনাল্ডো নিজস্ব এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন-স্বপ্ন পূরণের জন্য মাঝে মাঝে অপেক্ষা করতে হয়। আমিও তাই অপেক্ষা করব। তবে এই দলের পারফরম্যান্স ও ফুটবলারদের নিয়ে আমি গর্বিত।
আবার মেসির দল ইন্টার মায়ামি খেলতে নেমেছিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে। সেই ম্যাচও ছিল সেমিফাইনাল। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল ভ্যাঙ্কুভারের হোয়াইটক্যাপস। তারা কিনা ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় মেসির দল মায়ামিকে। দুই লেগ মি্লিয়ে মায়ামি হারতে বাধ্য হল ৫-১ গোলে। এই দলের বিরুদ্ধে প্রথম সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি মেসি। চোটের কারণে বসেছিলেন গ্যালারিতে। বুধবার তিনি খেললেন। তবু পারলেন না দলকে জেতাতে। তাই নিজের হতাশার মুহূর্তকে ভুলতে পারলেন না মেসি। আরও বড় কথা হল, মেসির দলের বিরুদ্ধে ভ্যাঙ্কুভার দুটো ম্যাচেই জিতল।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই