মহামেডানকে সতর্ক করে চিঠি দিল ফিফা। জানিয়ে দিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্দ্রে চের্নিশভের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে। যদি না মেটায় মহামেডান তাহলে তিনটে উইন্ডো ব্যান করে দেওয়া হবে। মহামেডান কর্তারা অবশ্য এই নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। তঁারা মনে করছেন, আর্থিক সমস্যা মিটে গেলে এই ব্যাপারটা বড় আকার নেবে না।
মহামেডানের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরোন অবস্থা। একদিকে স্পনসর নেই। অন্যদিকে ক্লাবের উপর কোটি কোটি টাকার দেনা। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস দশা সাদা-কালো শিবিরের। এখান থেকে একটাই রাস্তা খোলা, স্পনসর জোগাড় করা। যদি কোনও আর্থিক ম্যানেজমেন্ট এগিয়ে এসে সাহায্য করে তাহলে এক এক করে অনেক সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবেন ক্লাবকর্তারা। বুধবার শুরু হয়ে গেল কলকাতা লিগের জন্য প্রস্তুতি। সব ঠিক আছে। কিন্তু এর পরিণতি কোথায় গিয়ে দঁাড়াবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না মহামেডান কর্তারা।
এমন যখন পরিস্থিতি তখন কিনা ফিফার কড়া চিঠি। ফিফা চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এক মাসের মধ্যে চেরনিশভের বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। নাহলে তিনটে উইন্ডোতে কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না মহামেডান। যার অর্থ প্রায় এক বছর নতুন কোনও ফুটবলার নিতে পারবে না সাদা-কালো শিবির। আইএসএল খেলা ক্লাবের তখন পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দঁাড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। বুধবার থেকে যে দলের প্র্যাকটিশ শুরু হল তাতে বড় কোনও ফুটবলারের নাম নেই। সামনে ডুরান্ড কাপ আছে। আছে কলকাতা লিগ। তাই রিজার্ভ টিম ও কিছু জুনিয়র ছেলেদের নিয়ে দলগঠন করে প্র্যাকটিশ শুরু করে দেওয়া হল। কিন্তু ফিফার চিঠি আসার পর ক্লাবকর্তারা বুঝে উঠতে পারছেন না কী করবেন। প্রাক্তন কোচ এমনিতেই মরশুম শেষ হওয়ার আগে শহর ছেড়ে চলে যান। ব্যক্তিগত কাজ দেখিয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেও পরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মহামেডান ক্লাবের পক্ষ থেকে তঁাকে আসতে নিষেধ করা হয়। বকেয়া মেটাবার কোনও সদিচ্ছা ক্লাব দেখায়নি। বেশ কয়েকবার তিনি ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্লাব তঁাকে সেভাবে পাত্তা দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ফিফার দ্বারস্থ হন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে সতর্ক করে মহামেডানকে চিঠি দিল ফিফা।