বায়ার্ন মিউনিখকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিল ফ্ল্যামেঙ্গো। ২৯ জুন খেলা। সেই ম্যাচে না জিতলে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিশ্চিত। মাঝের এই ক-টা দিন ব্রাজিলের ক্লাব অন্যকিছু নিয়ে আর ভাবতে রাজি নয়।
ক্লাব বিশ্বকাপে অপরাজিত ধারা বজায় রেখে প্রি-কোয়ার্টারে পৌছে গেল ফ্ল্যামেঙ্গো। প্রথম দুই ম্যাচ জেতার দরুন আগে শেষ ১৬-তে খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বুধবারের ম্যাচটা ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির বিপক্ষে ১-১ গোলে খেলা শেষ করে ব্রাজিলের দল। ফ্ল্যামিঙ্গোর সঙ্গে একই গ্রুপ থেকে রানার্স হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পৌছে গেল চেলসি। খেলাটা ছিল ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে। ম্যাচে ব্রাজিলের ক্লাব দাপট দেখায়। সারা মাঠে ভাল খেললেও প্রতিপক্ষের গোলের সামনে বারবার নিজেদের হারিয়ে ফেলেছে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে যখন মিনিট ছয়েক বাকি তখন সকলকে অবাক করে গোল দিয়ে চলে যায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি। সকলে তখন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল হারছে ফ্ল্যামেঙ্গো। গোল খাওয়ার দু-মিনিটের মধ্যে গোলশোধ করে দেয় ব্রাজিলের দল। গোলটি করেন ওয়ালেসে ইয়ান। শেষ ১৬-তে ফ্ল্যামেঙ্গো মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখের। ২৯ জুন খেলা।
বায়ার্ন মিউনিখকে গুরুত্ব দিলেও ভয় পাচ্ছে না ফ্ল্যামেঙ্গো। বরং ফ্ল্যামেঙ্গো কোচ জানিয়ে দিলেন, বায়ার্নের বিরুদ্ধে খেলার জন্য তঁারা প্রস্তুত। “বিশ্বের অভিজাত দলগুলোর মধ্যে বায়ার্ন থাকবে প্রথম সারিতে। ইউরোপের দৌত্য বললেও ভুল বলা হবে না। ঘরোয়া লিগে সবসময় তারা শুধু দাপট দেখায় তাই নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারা প্রতিপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। দলে এমন কয়েকজন আছে যারা মুহূর্তের মধ্যে খেলার রং পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া বায়ার্নে আছে একজন দুর্দান্ত কোচ। যঁার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। খেলার নাম যেখানে ফুটবল সেখানে যেকোনও ঘটনা ঘটতে পারে।” তাছাড়া ফ্ল্যামেঙ্গো কোচকে ভরসা জোগাচ্ছে, চোট-আঘাত নেই বলে। “যেহেতু আমরা আগেই নক-আউটে চলে গিয়েছিলাম তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলাটা আমাদের কাছে অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রথম একাদশের অনেককে তাই বিশ্রাম দিতে পেরেছি। ফলে চোট-আঘাত যেমন দলে নেই। কার্ড সমস্যাতে পড়তে হবে না।” জানিয়ে দিলেন ফিলিপে লুইস।