ভায়াদোলিদ-১ (ইভান স্যাঞ্চেজ) বার্সেলোনা-২ (রাফিনিয়া, লোপেজ)
মাত্র তিন দিন আগে ইন্টার মিলানের সঙ্গে পিছিয়ে পড়ে কোনওমতে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। তাও আবার নিজেদের মাঠে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার এই খেলা দেখে অনেকে অবাক না হয়ে পারেননি। যেহেতু মিলানের পারফরম্যান্স ছিল ঈর্ষনীয়। তাই লা লিগা ম্যাচ খেলতে নামার আগে একটা অজানা আশঙ্কা গ্রাস করে রেখেছিল বার্সা শিবিরকে। যেহেতু ম্যাচটা ছিল অ্যাওয়ে। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে বসে হ্যান্সি ফ্লিকের ছেলেরা। খেলা শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় গোল করে ভায়াদোলিদকে এগিয়ে দেন ইভান স্যাঞ্চেজ। তখন অনেকে ভাবতে শুরু করেছিলেন, হয়তো মিলান ম্যাচের রেশ বার্সা শিবিরকে গ্রাস করে রেখেছে। কিন্তু বিরতির পর রাফিনিয়া ও লোপেজ গোল দিয়ে ২-১ গোলে বার্সেলোনাকে জিতিয়ে দেন।
বার্সেলোনার অপর নাম ‘কামব্যাক’ হওয়া উচিত। শেষ ম্যাচ তারা খেলেছিল মিলানের সঙ্গে। সেই ম্যাচেও ২১ মিনিটের মধ্যে পিছিয়ে পড়েছিল ২-০ গোলে। তবু তারা বিরতির আগে ঘুরে দঁাড়ায়। ফের বিরতির পর গোল দিয়ে মিলান এগিয়ে গেলে তাও পরিশোধ করে দেন ইয়ামাল, রাফিনিয়ারা। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মরশুমে এবার নিয়ে লা লিগায় শুধু পঁাচবার পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ জিতেছে বার্সা। সব মিলিয়ে মোট ৮। কিন্তু ২০২৫ সালে তার মানে গত চার মাসের মধ্যে বার্সেলোনা গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও ৬বার ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছে। স্প্যানিশ সুপার কাপ থেকে শুরু করে কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোথাও বাদ যায়নি। ভায়াদোলিদের বিরুদ্ধেও তাই হয়েছে। ৫৪ মিনিটে রাফিনিয়া ও ৬০ মিনিটে লোপেজ গোল করে দলকে জিতিয়ে দেন।
ইউরোপ ফুটবলে আগে রিয়াল মাদ্রিদকে কামব্যাক দল হিসেবে চিহ্নিত করা হত। কিছুদিন আগেও রিয়াল যেন ঘুরে দঁাড়ানোর ক্ষেত্রে ‘সম্রাট’ হয়ে গিয়েছিল। এখন সেই জায়গা পুরোপুরি দখল করে নিতে চলেছে বার্সেলোনা। তাদের এখন কামব্যাক স্পেশালিস্ট হিসেবে ডাকা উচিত। চলতি মরশুমে বার্সেলোনা ৫৫ ম্যাচ খেলে জিতেছিল ৪১টা। যারমধ্যে রয়েছে লা লিগায় ২৫, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-৯, কোপা দেল রে-তে ৫, সুপার কাপে দুটো ম্যাচ জিতেছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সা গোল করেছে চলতি মরশুমে ১৬০। ম্যাচ পিছু গড় ধরে যা দঁাড়ায় ২.৯০। এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। যদিও রবিবার রাতে রিয়াল খেলতে নামবে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে।
খেলার শেষে বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক জানিয়ে দেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মিলান ম্যাচ সামনে রয়েছে। সেই ম্যাচকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রথম একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছিলেন। সেই তালিকায় ঢুকে পড়ে ছিলেন রাফিনিয়া, ইয়ামালরা। কিন্তু তরুন-তুর্কিরা সফল না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ইয়ামালদের মাঠে নামাতে বাধ্য হন ফ্লিক। “আমি দলে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম। বিশেষ করে যারা তেমন খেলার সুযোগ পায়না তাদের নামিয়ে দেখতে যাই। প্রথম একাদশে একসঙ্গে যদি বেশ কয়েকজনের পরিবর্তন ঘটে তাহলে দলের খেলায় প্রভাব পড়তে বাধ্য।” দলের ক্রিশ্চিয়ানশেন ও রোনাল্ড আরিউ দুজনের খেলা দেখে খুশি ফ্লিক। এমন কী পারভিন লোপেজকে মিলানের বিরুদ্ধে শুরু থেকে খেলানোর কথা ভাবছেন বার্সা কোচ। রাফিনিয়ার খেলা দেখেও তিনি মুগ্ধ। লোপেজের প্রশংসা করে ফ্লিক বলেন, “লোপেজ যে কোনও দলের কাছে একজন অপরিহার্য ফুটবলার। অনেকগুলো পজিশনে খেলতে পারে। টিম ছাড়া অন্যকিছু ছেলেটা বোঝেনা। তবে লক্ষ্য ছিল তিন পয়েন্ট পাওয়ার। সেই লক্ষ্যে আমরা চূড়ান্ত সফল।” গোলকিপার হিসেবে সেজনির কথাই ভাবছেন বার্সা কোচ। জানিয়ে দিলেন, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে খেলায় গোলকিপিং পজিশনে সেজনি সম্ভবত শুরু করবেন।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই