ছবিটা এখনও চোখের সামনে ভাসছে। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সুনীল গাভাসকর বলছেন, স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড। তাঁর এই বক্তব্য ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। পরে একটি বিজ্ঞাপনেও তা ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু হেডিংলেতে ইংল্যান্ডর বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ঋষভ পন্থের ব্যাটিংয়ে গাভাসকর মুগ্ধ। এখন আর স্টুপিড কথা তাঁর কাছ থেকে শোনা যায়নি। বরং তিনি বলছেন, ঋষভ নিজেকে বদলে ফেলেছে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি সে়ঞ্চুরি করলেন। এবং এতেই যেন তাঁর পিঠ চাপড়ে দিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক।
আজকের পন্থকে দেখে কি বলছেন গাভাসকর। তাঁর নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং দেখে গাভসকর বলছেন, পন্থ ব্যাট করতে নামলে শুরুতে সামনে এসে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠায় । এটাই ওর খেলার স্ট্র্যাটেজি। এতে খোলা মনে খেলতে পারে। সেভাবে খেলে নিজের আত্মবিশ্বাস পায়। কিন্তু হেডিংলেতে দেখলাম মানসিকতায় বদল এসেছে। উইকেটে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছে। বোলাররা টায়ার্ড হয়ে যাওযার পর আক্রমনে গিয়েছে। বাউন্ডারিও পেয়েছে।
পেস বোলারদের বিরুদ্ধে পন্থের ডিফেন্সিভ ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ গাভাসকর। বলছেন, এমন মেজাজের পন্থকে আগে দেখিনি। উইকেটে সময় দেওয়ার কারনে ওর পক্ষে আক্রমনত্মক স্ট্রোক খেলা সহজ হয়ে যাচ্ছে। ডিফেন্স করর সময় ওর হাতে অনেকটা সময় থেকে যাচ্ছে। পন্থের প্রতিভা দারুন। এটা প্রশংসা করতেই হবে। ওকে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতেও সেঞ্চুরি করতে দেখেছি। যা মোটেও সহজ কাজ ছিলনা।
এবার পিছনে ফিরে তাকাই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে স্পিনারকে সুইপ মারতে গিয়ে প্রথমে ফস্কান। তাঁর শট দেখে প্রতিপক্ষ ডিপ স্কোয়ার লেগে একজন বাড়তি ফিল্ডার রাখেন। পরের বল পন্থ একই কায়দায় আবার সুইপ মারেন। এবং সোজা সেই ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ যায়। পন্থের আউট দেখে হতাশ গাভাসকর বলে ওঠেন, স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড। তারপরই ভাইরালের ছবি সকলের সামনে আসে। সামনে আসে বিজ্ঞাপনে একই কায়দায় কথা বলা। এখন মেজাজ বদলেছে। পন্থ নিজেকে বদলে ফেলেছেন। আর গাভাসকর নিজেও পন্থ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সব কিছু বদলালেন।