“মরশুমের শুরুতে তাদের সঙ্গে খেলেছিলাম। পিএসজি নিঃসন্দেহে দারুন দল। ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন। পারফরম্যান্সের নিরিখে আমরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। যেদিন নিজেদের খেলা ঠিকমতো খেলতে পারি সেদিন কেউ পারবে না আমাদের হারাতে। নিজেদের ঠিক মতো তুলে ধরার জন্য আমাদের মরিয়া হতে হবে। তারজন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।” ম্যাচের শেষে কথাগুলো বলেছেন হ্যারি কেন। ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ১৬ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ৪-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গোকে। কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি-র মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। সেই খেলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে জোড়া গোল করা হ্যারি কেন উপরোক্ত কথাগুলো বলে যান।
খেলার শুরুতেই আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। জোশুয়া কিমিচের কর্ণার থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বসেন চিলির মিডফিল্ডার এরিক পুলগার। গত ১১টা ম্যাচে ফ্ল্যামেঙ্গো অপরাজিত ছিল। তাই শুরুতেই গোল খেয়ে কেমন হতোদ্যম হয়ে পড়ে। প্রথম গোল করার তিন মিনিটের মধ্যে ফের গোল করে চলে যান হ্যারি কেন। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক গোল করার সঙ্গে সঙ্গে মনোবলের দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিলের ক্লাব। পরবর্তীকালে ফ্ল্যামেঙ্গো আচমকা গোল পেয়ে ফের হারিয়ে যাওয়া খেলায় ফিরে আসে। ম্যানুয়েল নয়্যারকে দারুন শটে পরাস্ত করে গোল দিয়ে যান ফ্ল্যামেঙ্গোর জারসন। ৩৩ মিনিটের এই গোল যখন ফ্ল্যামেঙ্গো সমর্থকদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় ফের গোল করে বসে জার্মানির শ্রেষ্ঠ দল। এবার বায়ার্নের হয়ে গোল করে যান লিওন গোরেত্্জা। বিরতির আগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে খেলা শেষ করে বায়ার্ন। শেষার্ধের খেলা শুরু হওয়ার মিনিট দশেকের মধ্যে পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিলের দল। একদা চেলসি ও আর্সেনালে খেলা জর্জিনহো পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ফের উজ্জ্বীবিত করে তোলেন। হ্যারি কেন ৭৩ মিনিটে অসাধারণ একটা গোল করে ৪-২ ব্যবধানে পৌছে দেন বায়ার্নকে। তারপর আর ঘুরে দঁাড়াতে পারেনি ফ্ল্যামেঙ্গো।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এবার ৪০ ও ৪১তম গোল করে ফেললেন। দ্বিতীয় গোল সম্পর্কে বলতে শোনা যায় কেন-কে, “দারুন বল বাড়িয়ে ছিল জশ (কিমিচ)। সকলকে বোকা বানানো এই পাশের মধ্যে গোল করার ঠিকানা লেখা ছিল। বলটা প্রথমে ঠিকমতো আয়ত্তে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রথম পোস্ট ফঁাকা দেখতে পেয়ে আর সময় নিইনি। গোলটা নিঃসন্দেহে আমাকে অনেক বেশি তৃপ্তি দিয়েছে।” হ্যারি কেন মেনে নিচ্ছেন, পরিস্থিতি মোটেই ভালো ছিল না। বিশেষ করে আবহাওয়া ছিল যথেষ্ট গরম। সেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে প্রত্যেকে খেলেছে তাতে সকলের খুশি হওয়ার কথা। চতুর্থ গোল যে বায়ার্নকে অনেক বেশি আস্থা জুগিয়েছে তা স্বীকার করে নিয়ে হ্যারি কেন বলেন, “একটা সময় আমরা খুব চাপে পড়ে যাচ্ছিলাম। ফ্ল্যামেঙ্গো চেষ্টা করছিল, ম্যাচে ফিরে আসতে। আর একটা গোল করলেই তারা ফিরে আসতে পারত। ঠিক সেই সময় চতুর্থ গোল যেন হঁাফ ছাড়তে সাহায্য করেছে। চতুর্থ গোলের পর আর তেমন সুবিধে করতে পারেনি ফ্ল্যামেঙ্গো।”