ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জেতার সুবর্ণ সুযোগ এবার ভারতের সামনে রয়েছে বলে মনে করছেন ম্যাথু হেডেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার চাইছেন, শুরুর দু-তিনটে টেস্ট হবে দেশের উত্তর দিকে। ফলে সেই টেস্ট ম্যাচগুলোতে যদি জিতে যেতে পারে ভারত তাহলে চাপে পড়তে বাধ্য হবে ইংল্যান্ড। তাছাড়া বোলিং বিভাগও এবার তেমন উন্নত নয় ইংল্যান্ডের। সুতরাং এই দুটো দিক যদি ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হয়ে যায় তাহলে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে কোনও সমস্যা হবে না। তেমনই মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ওপেনার। আবার উল্টো সুর শোনা গিয়েছে সঞ্জয় মঞ্জরেকার ও দীপ দাশগুপ্তের গলায়।
২০ জুন থেকে হেডিংলেতে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড বনাম ভারতের প্রথম টেস্ট। চতুর্থ টেস্ট হবে ম্যাঞ্চেস্টারে। হেডেন চাইছেন, এই দুটো টেস্ট যদি ভারত জিতে যেতে পারে তাহলে বাজবল ক্রিকেট মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। “আমার মনে হয়না ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগ খুব ভালো জায়গায় আছে। বেশ কয়েকজন চোট-আঘাতে ভুগছে। তাছাড়া দলে কয়েকজন আছেন যঁারা অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়। তাই ভারতের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।” উত্তরাঞ্চলের টেস্ট ম্যাচগুলো থেকে হেডেন চাইছেন ভারত যেন ভাল ফল করে। তাহলে ভারতের পক্ষে সিরিজ জেতার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। “উত্তরাঞ্চলের টেস্ট ম্যাচগুলো জেতা ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি শুরুর দিকে ম্যাচগুলো জিতে যেতে পারে তাহলে ভারতের পক্ষে সিরিজ জেতা মোটেই অসম্ভব হবে না।” মন্তব্য হেডেনের।
ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার মার্ক উড প্রথম তিনটে টেস্ট খেলতে পারছেন না। জোফ্রা আর্চার ও গাস অ্যাটকিনসনও সিরিজের শুরুতে নেই। তাই হেডেন মনে করছেন, ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগে যেহেতু ধ্বস নেমে গিয়েছে তাহলে ভারতের না জেতার কোনও কারণ নেই। আবার ভারতের দিক দিয়ে বিচার করলে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি এই সিরিজে নেই। সেই জায়গায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাছে পরীক্ষা বেশ কঠিন। তাই সঞ্জয় মঞ্জরেকার ও দীপ দাশগুপ্ত মনে করছেন, ২০০৭ সালের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতার সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে ভারতের কাছে। “তরুণদের নিয়ে গড়া দল। আবার দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন একজন যিনি এই প্রথম অধিনায়ক হলেন। তিনিও আবার তরুণ। একটা পরিবর্তনের স্পষ্ট দিক দলে ফুটে উঠছে। ফলে ইংল্যান্ডকে এই দিকটা সুবিধে দিতে পারে। তাছাড়া ঘরের মাঠে খেলবে ইংল্যান্ড। তাই সিরিজ জেতার দৌড়ে ইংল্যান্ড থাকতে পারে। ৩-২ ব্যবধানে জেতার দিকে পাল্লা ভারি থাকবে ইংল্যান্ডের।” বলেছেন দীপ দাশগুপ্ত। মঞ্জরেকারও মনে করছেন, ইংল্যান্ডকে ভালমতো চ্যালেঞ্জ ছঁুড়ে দিতে পারবে ভারত। কিন্তু সবদিক দিয়ে বিচার করলে কিছুটা হলেও সিরিজ জেতার পক্ষে এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। “কোনও সন্দেহ নেই, ইংল্যান্ড কিছুটা সুবিধাজনক আছে। একদিকে তারা ঘরের মাঠে খেলবে। অন্যদিকে ভারতীয় দল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই ইংল্যান্ড সফল হওয়ার দৌড়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে।”