আফশোস করছে চার্চিল ব্রাদার্স। প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরও আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের নাম ঘোষণা করতে গড়িমসি করছিল ফেডারেশন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল ইন্টার কাশিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে আগ্রহী ফেডারেশন। চার্চিলের উপর আস্থা রাখতে পারছিল না ফুটবল ফেডারেশন। আসলে চার্চিলকে চ্যাম্পিয়ন না করে উপায় ছিল না। যেহেতু তাদের পয়েন্ট ২২ রাউন্ড খেলার পর ৪০ হয়ে গিয়েছিল। ইন্টার কাশির পয়েন্ট সেখানে ৩৯। নামধারী-ইন্টার কাশি ম্যাচে ঝামেলা হয়। সেই ম্যাচ থেকে কাশি তিন পয়েন্ট পায় কিনা সেটাই ছিল দেখার। যদি তিন পয়েন্ট পেয়ে যেত কাশি তাহলে চ্যাম্পিয়ন হত ইন্টার কাশি। সেইজন্য ফেডারেশন জানিয়ে ছিল, অ্যাপিল কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে তার উপর নির্ভর করবে কোন দল হবে আই লিগ সেরা। মাননীয় বিচারপতি রাজেশ ট্যান্ডনের নেতৃত্বে থাকা কমিটি পুরো বিষয়টা অনুসন্ধান করে জানিয়েছে, “টেবিল অনুসারে প্রথমে চার্চিল ব্রাদার্স এফসি, দ্বিতীয় স্থানে আছে ইন্টার কাশি ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে নামধারী এফসি। তাদের পয়েন্ট যথাক্রমে ৪০, ৩৯ ও ৩২।” পরবর্তীকালে প্রাক্তন বিচারপতি রাজেশ ট্যান্ডন রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন,“৬ এপ্রিল আই লিগ শেষ হয়েছে। তাই টেবিলের পয়েন্ট পাওয়া দলের ক্রমতালিকা অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন, রানার্স সহ অন্যান্য দলের নাম যথাক্রমে ঘোষণা করুক ফেডারেশন।” এই ঘোষণার পরে চার্চিলের আইএসএল খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল। তার মানে আগামী বছর তারা ভারতের সর্বোচ্চ লিগে খেলতে পারে। এবার নিয়ে চার্চিল ব্রাদার্স তৃতীয়বার আই লিগ পেল। তাছাড়া ১২ বছরের মধ্যে প্রথম কোনও বড়সড় সাফল্য পেল চার্চিলরা। পরে এক সাক্ষাতকারে নিজস্ব অভিমত তুলে ধরতে গিয়ে দলের মালিক আলেমাও চার্চিল বলেন,“সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ও গোয়ার মানুষদের এত সমর্থন কোনওদিন ভুলতে পারব না। তঁারা সকলে পাশে দঁাড়িয়ে ছিলেন বলেই আমরা আই লিগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছি।” কিন্তু সংশয়ে থাকা চার্চিল ব্রাদার্স ভাবেনি তারা এমন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাবে। তাই সুপার কাপ থেকে দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফলে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচ বাই পেয়ে যায়। চার্চিলের পক্ষে এখনও সম্ভব নয়, সুপার কাপে খেলা। না খেলার পেছনে দুটো কারণ। এক, ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তারা সুপার কাপে যোগ দিচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ২০ তারিখে মোহনবাগানের সঙ্গে খেলা ছিল। সেই ম্যাচ আর হওয়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে সুপার কাপ থেকে দল তুলে নেওয়ার জন্য আফশোস করছে চার্চিল ব্রাদার্স। অন্যদিকে ইন্টার কাশি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনের আশ্রয় নেবে। তারা যে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে অখুশি তা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে ইন্টার কাশী। সেই বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “আমরা সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হল তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। তাই আমরা চেষ্টা করব ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হওয়া।” সেই সঙ্গে তারা হুমকির সুরে এও জানিয়েছে,“ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আমরা শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরমধ্যে কোনও কিছু আগ বাড়িয়ে যদি ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চে্ষ্টা করে তাহলে তারা ঠকবে।”এখন দেখার ইন্টার কাশীকে কীভাবে সামাল দেয় ফেডারেশন।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের