একটা দেশ ফিফা ক্রমতালিকায় রয়েছে ৫৭ নম্বরে। ৬২তম স্থানে আরও একটা দেশ। সেই দেশগুলো কিনা বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে গেল। অথচ ভারতের কপালে কবে শিকে ছিঁড়বে কে জানে।
৫৭ নম্বরে রয়েছে উজবেকিস্তান। জর্ডন রয়েছে ৬২-তে। ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার জন্য এই দুটো দেশ যোগ্যতা অর্জন করে ফেললো। সঙ্গে খেলার ভিসা পেয়ে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বকাপ। খেলবে ৪৮টা দেশ। এত সংখ্যক দল নিয়ে কখনও বিশ্বকাপ হয়নি। যা আগামী বছর হতে চলেছে। উজবেকিস্তানের পথটা ছিল অনেক সহজ। যদি তারা ড্র করতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছে তাহলে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। সেটাই হল। গোলশূন্য ড্র করে তারা বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল। বিশ্ব ক্রমতালিকায় উজবেকিস্তান রয়েছে ৫৭ নম্বরে। মাত্র ৩৬ লাখ মানুষের বাস উজবেকিস্তান ১৯৯২ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে খেলা শুরু করে। তবে ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ খেলার সুবর্ণ সুযোগ তাদের সামনে চলে এসেছিল। কিন্তু ফিফার একটা সিদ্ধান্ত তাদেরকে খেলা থেকে বঞ্চিত করে। ঘটনাটা কি ঘটেছিল? প্লে অফের মাধ্যমে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রতিনিধি হিসেবে কনকাকাফের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মুখোমুখি হয়। এই ম্যাচ যারা জিতবে তারাই চলে যাবে জার্মানিতে সেবার খেলতে। প্রথম লেগের খেলায় উজবেকিস্তান ১-০ গোলে জিতে যায়। কিন্তু রেফারির একটা ভুলের জন্য ফিফা ফের ম্যাচ খেলার নির্দেশ দেয়। সেই খেলায় অ্যাওয়ে গোলের ভিত্তিতে ছিটকে গিয়েছিল উজবেকিস্তান।
বিশ্বকাপ যাওয়ার আনন্দে মেতে উঠল জর্ডন।
ওমানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে জর্ডান পেয়ে গেল বিশ্বকাপ যাওয়ার ভিসা। তবে জর্ডনের কাছে অঙ্কটা ছিল একটু কঠিন। জর্ডান শুধু জিতলে হত না, ইরাককে হারতে হত দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। দুটো ফলই চলে গেল জর্ডনের পক্ষে। তাই জর্ডন পেয়ে গেল বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। গড়ে ফেললো ইতিহাস। বিশ্ব ক্রমতালিকায় থাকা ৬২ নম্বরে জর্ডন ২০১৪ সালে প্রায় বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ তাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। কিন্তু আন্তমহাদেশী প্লে-অফে হেরে বসে উরুগুয়ের কাছে। তবে ১৯৮৬ সাল থেকে টানা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পেয়ে এসেছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে ইরাককে হারিয়ে টানা ১১বার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে।
বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পেল যারা–
আর্জেন্টিনা, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কানাডা, উজবেকিস্তান, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান ও নিউজিল্যান্ড।