অবিশ্বাস্য! অকল্পনীয়! কেকেআর দেখালো এভাবেও ম্যাচ হারা যায়। এমনিতেই কেকেআরের ইতিহাসের সঙ্গে একটা ব্যাপার লেগে আছে, বেশ কিছু ম্যাচে দেখা গিয়েছে যে ম্যাচ জেতার কথা নয়, সেই ম্যাচ তারা জিতে গিয়েছে আবার যে ম্যাচ হারার কথা নয়, তেমন ম্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে হেরে গিয়েছে। মঙ্গলবার আরও একটি তেমন ম্যাচ। আরও একটি তেমনই হার।নিজেদের বোলারদের ফর্ম নিয়ে চিন্তা ছিল বলেই টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারল না পঞ্জাব কিংস। ১৫.৩ ওভারে ১১১ রানেই অল আউট। পান চিবোতে চিবোতে যেখানে জিতে যাওয়ার কথা, সেখানে কিনা ১৫.১ ওভারে মাত্র ৯৫ রানেই ভেঙে পড়ল নাইট বাহিনী। খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসে ১৬ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড করে ফেলল প্রীতি জিন্টার দল। সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জেতার রেকর্ড। ভেঙে দিল ধোনির সিএসকের গড়া নজির। ২০০৯ সালে এই পঞ্জাবের বিরুদ্ধেই ১১৬ রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতেছিল সিএসকে। এতদিন এটাই ছিল রেকর্ড। মঙ্গলবার সেই রেকর্ডকে চুরমার করে নতুন চণ্ডীগড়ে নতুন নজির গড়লেন শ্রেয়সরা।
ব্যাপারটা এমন ছিল, আলোচনা চলছে পঞ্জাবের দেওয়া ১১২ রানের টার্গেট কত ওভারে তুলে ফেলতে পারবে কেকেআর? জোর গবেষণা, ১৫ ওভারের মাঝামাঝি যদি তুলে ফেলতে পারে তাহলে লিগ টেবিলের শীর্ষে চলে যাবেন রাহানেরা। একদিকে যখন এই গবেষণা, অন্যদিকে তখন পটাপট উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়িয়ে তুলছে নাইটরা। অবস্থা এমন দাঁড়ালো, শেষ ৫ ওবারে মাত্র ১৭ রান করতে হবে, কিন্তু হাতে যে আর উইকেট নেই! শেষ উইকেটের জুটিতে রাসেলের সঙ্গে ব্যাট করছেন আনরিখ নকিয়া। তখন ভরসা ওই রাসেল। কিন্তু রাসেল যে আর দ্রে রাস নেই! পারলেন না। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে লজ্জার হার। কারও ব্যক্তিগত রানের কথা বলার কিছু নেই। কথা শুধু ওই একজনকে নিয়েই। যজুবেন্দ্র চাহাল। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৮ রান খরচ করে তুলে নিলেন চারটি উইকেট। রক্তের স্বাদ পাওয়া সিংহের মত ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন চাহাল। রিস্ট স্পিনারের ঘুর্ণিতে হামাগুড়ি দিতে দিতে তলিয়ে গেল কেকেআর। এমনকী তখন ম্যাক্সওেয়লকেও মনে হচ্ছে আনপ্লেয়েবল স্পিনার। ২ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নিলেন। মার্কো জনসেনের ঝুলিতে ১৭ রানে ৩ উইকেট।
অথচ তার আগে হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিনরা দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে ম্যাচ প্রায় কলকাতায় নিয়ে চলে এসেছিলেন।রানার তিন, বরুণ, নারিনের দুটি করে উইকেট। কিন্তু অবিশ্বাস্য হারাকিরিতে সেই ম্যাচ শ্রেয়সের হাতে তুলে দিয়ে এল নাইটরা। না, রান পাননি শ্রেয়স। দুটি বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন। কিন্তু নেতৃত্বে বোঝালেন তাঁর সঙ্গে ঠিক কাজ করেনি কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। কম রানে অল আউট হওয়ার পর আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজি, বোলিং পরিবর্তন, বিশেষ করে নিখুঁত ফিল্ড প্লেসিংয়ে যেন বারবার মনে করাচ্ছিলেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে।
বেচারা রাহানে! কী আর করেন! একে তো অনভিজ্ঞ পার্টনার অঙ্গরীশ রঘুবংশীর ভুল পরামর্শে তাঁর এলবিডব্লুর ডিআরএস নিলেন না। নিলে বেঁচে যেতেন। হয়ত বেঁচে যেত কেকেআরও। কারণ ইমপ্যাক্ট আউট সাইড দ্য লাইন ছিল। তারপর দেখলেন তাঁর ব্যাটসম্যানদের আয়ারাম-গয়ারাম মিছিল। হতাশ, অসহায় রাহানে ম্যাচের শেষে ব্যাটিং ইউনিটকে দোষারোপ করেও জানালেন, ক্যাপ্টেন হিসাবে সব দায় তাঁর। ধাক্কাটা বেশ বড়সড়ই লাগল। ঘুরে দাঁড়াতে ব্র্যাভোকে যে এবার গম্ভীর হতে হবে!

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের