এই নামে অনকেই তাঁকে চেনেন না। প্রশ্ন করলে সবই জানতে চাইবেন এই স্যামুয়েল জয়রাজ কে! উত্তরে একটা কথাই বলার আছে, তিনি হলেন কে এল রাহুলের ছেলেবেলার কোচ। তাঁর হাত ধরেই ক্রিকেটে উঠে এসেছেন রাহুল।
ইংল্যান্ডের মাঠে ৩৩ বছরের রাহুলের সেঞ্চুরির পর অনেক কথাই বললেন জয়রাজ। জাতীয় দলের খেলার কারনে এখন নিয়মিত যোগাযোগ নেই। জয়রাজের কাছে তালিমের প্রয়োজনও হয় না। নানা সময় নানা কোচকে তিনি পেয়েছেন। তবে জয়রাজ ভোলেননি রাহুলকে। তাঁর পুরো জার্সি জয়রাজের কাছে ছবির মতো স্পষ্ট। তাই তো তিনি বলতে পারছেন, রাহুল এখন নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে। মেজাজে, টেকনিকে, পরিস্থিতি বিচারে, কোন কিছুতে আগের রাহুলের সঙ্গে আজকের রাহুলের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়, ২০২৪-এ টি ২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে রাহুলকে হতাশায় ভেঙ্গে পড়তে দেখেননি। রাহুলের মনে হয়েছিল, নিজেকে আরও ভালভাবে তৈরি করতে হবে। এমন খেলতে হবে য়া দেখার পর কেউ তাকে দরে বাইরে ফেলে দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে ফিরে এসে নিজেকে কীভাবে দাঁড় করিয়েছে রাহুল! এখন সবাই তা দেখতে পাচ্ছেন। তাই বলছিলাম, রাহুল নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে।
এটা ঘটনা য়ে টি২০ বিশ্বকাপে রাহুলকে ছেঁটে ফেলা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তার আগে ২০২৩-এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দারুন খেলেছিলেন রাহুল। ব্যাটিং বা কিপিংয়ে সকলের নজর তিনি কেড়েছেন। তারপর ছয় মাসের মধ্যে কি এমন ঘটল যা নির্বাচকদের খুশি করতে পারল না। টি২০ বিশ্বকাপে জায়গা না পেলেও টেস্ট সিরিজে জায়গা করে নিল। এমন কি দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কেমন খেললেন রাহুল তা কি আজ নতুন করে মনে করিয়ে দিয়ে হবে! জয়রাজ বলছিলেন, এটা ঘটনা যে টি২০ বিশ্বকাপে জায়গা না পেয়ে ওকে হতশ হতে দেখিনি। রাহুল বিশ্বাস করে হতাশা বাচ্চাদের মানায়। ওর মতো একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হতাশায় ডুবে গেলে মনে করতে হবে, তোমার দিন শেষ হয়ে এসেছে। তাই নিজেকে পালিশ করে দারুনভাবে ফিরল রাহুল। এখন দল গড়তে হলে ওর নাম শুরুতেই লিখে ফেলতে হবে।
গত দশ বছরের রাহুলকে বিচার করলে দেখা যাবে ও ভিষণ শান্ত। চাপের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে টেনে নিয়ে চলে। জয়রাজ সেকথা টেনে বলছেন, রাহুল এখন কম্পোজড। লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামলেও জানে কীভাবে খেলতে হবে। দেখবেন প্রথম চার বল খেলে স্ট্রোক করার পথে ছোটে। পঞ্চম বা শেষ বলে সিঙ্গলস নিয়ে পরের ওভারে শুরু থেকে খেলার সুযোগের চেষ্ট করে। ওকে দেখে কখনই মনে হবে না যে চাপে পড়ে গিয়েছে। আর এই মানসিকতা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়। আমি আশা করব, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নিজেকে একভাবে মেলে ধরবে।