লখনউ সুপার জায়ান্টাস: ২ উইকেটে ২৩৫ (২০ ওভার)
গুজরাট টাইটানস: ৯ উইকেটে ২০২ (২০ ওভার)
এক সপ্তাহ স্থগিত থাকা আইপিএল ফের শুরু হওয়ার আগে লখনউ সুপার জায়ান্টাসের কর্নধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিরুপতি মন্দিরে।
কেন! সেকথা জানা যায়নি। হয়তো ব্যক্তিগত কোনও কারনে, না হয় আইপিএলে দলের সাফল্যের জন্য মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া। তার ফল কিন্তু তিনি পেয়ে গেলেন।
ফের চালু হওয়া আইপিএলের প্রথম ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে লখনউ। বিদায় নিলেও লিগের বাকি ছিল। সেখানে নিজেদের প্রমান করলেন ক্রিকেটাররা। এটাই তঁদের আসল চেহারা। যা হয়ে গিয়েছে, সেটা কল্পনা না হলেও বাস্তব নয়। আমেদাবাদে আসল লখনউকে দেখা গেল। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। এখানে তাঁরা জ্বলে উঠলেন। সেই আলোয় হারিয়ে গেল গুজরাট টাইটান্স।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ভাল মতো আছেন শুভমান গিলরা। সেই দলের বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করলেন মার্করান ও মার্শরা। বোলারদের লাইন গরমিল হয়ে গেল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিরাট রানের ইনিংস গড়লেন লখনউয়ের ওপেনাররা। সঙ্গে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা নিকোলাস পুরন। বাকিদের মাঠে নেমে কিছু করার ছিল না। আর এতেই যে রান তুলে দিলেন তা দেখে আন্দাজ করা গিয়েছিল এই ম্যাচ গুজরাট বের করতে পারবে না। সেটাই হল। ৩৩ রানে ম্যাচ জিতে গেল লখনউ।
দল গঠনের সময় মনে হয়েছিল, লখনউয়ের ব্যাটিং যে কোনও দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ফর্মে থাকলে হয়তো লখনউ নিজেদের অনেক আগে খুঁজে পেত। গোটা টুর্নামেন্টে ঋষভের পিঠে ব্যর্থতার ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হল। ওপেনাররাও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। তাঁরা আলোয় ফিরলেন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর। এটাই হয়তো পাওয়ার খাতায় লেখা থাকবে। এক নম্বরে দলকে হারিয়ে তারা বিদায় নিয়েছে, এটাই বা কম কিসের।
গুজরাট টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমেদাবাদের উইকেটে বোলাররা কিছুই করতে পারলেন ন। প্রথম উইকেটে ৯.৫ ওভারে উঠল ৯১ রান। মার্করাম (৩৬) আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর মার্শের সঙ্গে জুটিতে পুরান প্রতিপক্ষ বোলরদের নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উঠল ১২১ রান। ম্যাচ তো সেকানেই শেষ। মিচেল মার্শ (৬৪ বলে ১১৭) সেঞ্চুরি পেলেন। ঋষভ এসে দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬ বলে ১৬ রান করলেন। এভাবেই উঠে এল ২৩৫রান। ব্যস আর কি চাই। বোলিংয়ে একটা কথা বলার আছে। একসময় এই ফরম্যাটে ভয়ঙ্কর রশিদ খান কেন নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। এই ম্যাচে ২ ওভারে দিলেন ৩৬ রান। ভাবা যায়!
এই বিশাল রানের পাল্টা দিতে হলে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে হবে। সেই চেষ্টা করলেন ব্যাটসম্যানরা। সুদর্শন (১৬ বলে ২১) গিল (২০ বলে ৩৫), বাটলার (১৮ বলে ৩৩), রাদারফোর্ড (২২ বলে ৩৮), সরফরাজ খানরা ( ২৯ বলে ৫৭) ছুটেও পারলেন না। তবু রাদারফোর্ড ও সরফরাজ যতক্ষন ছিলেন, আশায় ছিল গুজরাট। কিন্তু তাঁরা আউট হওয়ার পর সব শেষ। তবে একটা কথা বলতেই হয়, প্লে অফ খেলতে যাওয়ার আগে এই ধাক্কা হয়তো গুজরাটকে ধাক্কা দিয়ে নতুন করে তৈরি হতে সাহায্য করবে। এই ম্যাচের পর গুজরাট ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। উল্টোদিকে কেকেআরকে পিছনে ফেলে লখনউ উঠে এল ছয় নম্বরে। তাদের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১২।