লখনউ সুপার জায়ান্টাস: ৭ উইকেটে ২০৫ (২০ ওভার)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ৪ উইকেটে ২০৬ (১৮.২ ওভার)
হারাধনের দশটি ছেলের গল্পের মতো আইপিএল প্লে অফে একটি দল হারিয়ে গেল। লড়াই এখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটলসের মধ্যে। মঙ্গলবার জানা যাবে দুটির মধ্যে কোন দল প্লে অফে খেলার যোগ্যতা পাবে।
তিনটি দল আগেই প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছে। তারা হল গুজরাট টাইটান্স, পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একটি জায়গার জন্য লড়াই ছিল তিন দলের মধ্যে। কিন্তু সোমবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টাস ছয় উইকেটে হেরে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। অনেক আগে ছিটকে যাওয়া কামিনসদের কাছে ঋষভ পন্থদের হারকে কেউ মেনে নিতে পারছেন ন। তার উপর প্রথমে ২০৫ রান করে কেন ম্যাচ ধরে রাখতে পারবে না। না পারার পিছনে অবশ্যই কারন আছে। ওভার প্রতি দশের উপর রান তুলে হায়দরাবাদ সেই কঠিন কাজকে সহজ করে ফেলল। তার জন্য অবশ্যই কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন ওপেনার অভিষেক শর্মা। তাঁকে আটকাতে হিমশিম খেলেন লখনউ বোলাররা। কোথায় গেল পেসারদের দাপট! একমাত্র নজর কাড়েন স্পিনার রাঠি। তিনি ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট পেলেন। বোলারদের সাফল্য বলতে এটুকুই। রাঠি ছাড়া কারোর নাম করা যাচ্ছে না।
কামিনসদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে লখনউ ১১ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টে ছিল। তিনটি ম্যাচ জিতলে তারা ১৬ পয়েন্টে যেত। তারপরও যে লখনউ প্লে অফ খেলার সুযোগ পেত, . তারও গ্যারান্টি ছিল না। তবু লড়াইয়ে থাকতেন ঋষভরা। কিন্তু হায়দরাবাদের কাছে হেরে তারা এমন জায়গায় দাঁড়াল, যেখান থেকে তাাদের শেষ চারের লড়াইয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকল না। গ্রুপ লিগের বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও তারা ১৪ পয়েন্টে দাঁড়াবে। কিন্তু ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন দেখা বাতুল ছাড়া কিছু হতে পারে না। সেটাই এখন লখনউকে ভাবাচ্ছে। উল্টোদিকে হায়দরাবাদেরও সুযোগ নেই। তারা ১৩ ম্যাচ খেলে ৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। তাই দিল্লি বনাম মুম্বইয়ের খেলার রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে কারা চার নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে যাবে। লিগের খেলা এখনও অনেক বাকি। কিন্তু তার আগেই প্লে অফের চার দলের নাম লেখা হয়ে যাবে।
আগেই বলছিলাম, অভিষেক শর্মার কথা। তিনি শুরুতেই যে ঝড় তুললেন, সেখানেই লেখা হয়ে গেল লখনউ ম্যাচ বের করতে পারবে না। পাওয়ার প্লে-তে তারা করল ১ উইকেটে ৭২ রান। অভিষেক ২০ বল খেলে ৫৯ করলেন। ২৯৫ স্ট্রাইক রেট রেখে অভিষেক মাঠে ঝড় তুললেন। ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউন্ডারি। তিনি ম্যাচের সেরা পুরস্কার পেলেন। তারপর ইশান কিষান (২৮ বল খেলে ৩৫), ক্লাসেন (২৮ বল খেলে ৪৭),মেন্ডিসের ব্যাটিং (২১ বল খেলে ৩২) দাপটে হারিয়ে গেল লখনউ। একই সঙ্গে আইপিএল থেকে বিদায়ের টিকিটও কাটা হয়ে গেল। কামিনসরা এমন কাজ করলেন যে মুম্বই ও দিল্লির এগিয়ে যাওয়ার পথ সহজ করে দিলেন।