ইস্টবেঙ্গলের ক্রমাগত ব্যর্থতা দেখে একদম ভেঙে পড়েছেন লাল-হলুদের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাই প্রিয় দলের খেলা এখন নিয়মিত দেখেন না। কারণ একটাই, যদি তঁার প্রাণের দল হেরে বসে। হেরে গেলে লজ্জার চেয়ে মনের মধ্যে একটা দলাপাকানো কষ্ট প্রচন্ড চেপে ধরে। তবু লাল-হলুদকে নিয়ে তিনি এখনও স্বপ্ন দেখেন। ভাবেন আবার তঁার প্রিয় দল ঠিক ঘুরে দঁাড়াবে। আবার ভারতসেরা হবে। আইএসএলে চরম ব্যর্থতার পর অনেক লাল-হলুদ সমর্থকদের মতোই তিনিও ভেবেছিলেন সুপার কাপে নিশ্চয় ভালো কিছু হবে। কিন্তু কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে হারার পর মনের কষ্ট আর লুকিয়ে রাখতে পারছেন না। তাই আফসোসের সুরে বলেই ফেললেন মনোর়ঞ্জন ভট্টাচার্য, “ইস্টবেঙ্গলের সব ম্যাচ দেখা এখন ছেড়েই দিয়েছি। ম্যাচ দেখার আগে ভাবতে বসি, দলটা আজ হেরে যাবে নাতো। তবু মন মানে না বলে প্রায় টিভির সামনে বসে খেলা দেখি। আসলে প্রিয় দল যখন হেরে যায় তখন লজ্জা নয়, মনের মধ্যে প্রচন্ড কষ্ট অনুভব করি। মনে হয় কোনও স্বজনকে হারালাম।”দলটার গলদ কোথায় অন্যদের মতো তিনিও খঁুজেও বেড়াচ্ছেন। অনুসন্ধান করতে গিয়ে তঁার মনে হয়েছে, প্রকৃত নেতার অভাব। অস্কার ব্রুজোকে সম্মান জানিয়ে ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে বলছিলেন, “কোচ হিসেবে অস্কার ব্রুজো খারাপ তা বলব না। এই লোকটার হাতে আরও একটা বছর দায়িত্ব ছাড়া উচিত। সমস্যাটা হল অন্য জায়গায়। কোচ বাইরে থেকে দলকে পরিচালনা করে। কিন্তু মাঠের মধ্যে একজন প্রকৃত নেতার প্রয়োজন হয়। যে সবসময় দলকে চার্জড করবে। বোঝানোর চেষ্টা করবে, আমরাই পারব। গৌতম সরকার, সুভাষ ভৌমিকরা যখন ইস্টবেঙ্গলে খেলতেন এই কাজটাই করতেন। পরবর্তীকালে আমি কিছুটা করার চেষ্টা করতাম। এখন দলে সেই নেতা কেউ নেই। যারজন্য দলটা মোটেই দঁাড়াতে পারছে না।” মনোরঞ্জনের আরও মনে হয়েছে, দলের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব। “দল যে খুব খারাপ পারফরম্যান্স করেছে সবসময় তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে ভালোই খেলেছে। সমস্যাটা হয়ে দঁাড়িয়েছে, ধারাবাহিকতা নেই। আজ ভাল খেললো তো কাল খারাপ। সবসময় একটা দল ভাল খেলবে তার কোনও মানে নেই। খারাপের দিনেও একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকবে। সেই স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে পারছে না আমাদের দল।” সুপার কাপের ব্যর্থতাকে বড় করে দেখতে নারাজ মনোর়ঞ্জন। তঁার মতে, নক-আউট টুর্নামেন্টে এমন অঘটন ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু আইএসএলে দল যদি না দঁাড়াতে পারে তখন বুঝতে হবে, দলে কোথাও খামতি রয়েছে। তাই তিনি বলছিলেন, “দল খারাপ একদম বলব না। ইস্টবেঙ্গলের চেয়েও খারাপ দল নিয়ে এবারের আইএসএলে অনেকে ভাল খেলেছে। আসলে বিদেশি নির্বাচন আমাদের ঠিক হচ্ছে না। বাজারে একশোজন হয়তো একই মাল নিয়ে বসে আছে। যে ক্রেতা তাকে ওই একশোজনের মধ্যে থেকে সেরা মাল কে নিয়ে বসেছে তাকে বাছতে হবে। আমাদের সেই বাছাই-এর কাজটা খুব খারাপ। আসলে ইনভেস্টাররা আমাদের কোনওদিন বিশ্বাস করল না। ভরসা রাখতে পারল না। যদি একটু-আধটু ভরসা রাখতো তাহলে হয়তো খেটে খুটে ভাল কিছু করার চেষ্টা করা যেত। যাইহোক, আশায় আছি। এমন দিন তো চিরদিন থাকবে না। যেদিন বদলাবে সেইদিন প্রাণ ভরে দলের খেলা দেখব।”বলেই দিলেন মনোরঞ্জন।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই