সুপার কাপে দুরন্ত পারফরম্যান্সের ফল হাতে নাতে পেয়ে গেলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। মোহনবাগানের ফরোয়ার্ডে খেলা সাহালকে জাতীয় ক্যাম্পে ডেকে নিয়েছেন কোচ মানোলো মার্কেজ। তবে গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে দলে ডাকা হয়নি। ভারতের একদা এক নম্বর গোলকিপার গত বছর মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। তারপর থেকে তিনি আর ডাক পাননি। বোঝাই যাচ্ছে জাতীয় কোচ মানোলোর মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন গুরপ্রীত। যেখানে তঁার ভুলে ভারত একটি গোল খেয়ে বসে। তারপর থেকে মনোলোর চোখে গুরপ্রীত ভিলেন হয়ে গিয়েছেন। পরে দুটো ম্যাচ খেলেছে ভারত। যারমধ্যে একটা ছিল মালদ্বীপের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ ও বাংলাদেশের সঙ্গে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের খেলা। উপরোক্ত দুটো ম্যাচে গুরপ্রীতের জায়গায় ডাকা হয় বিশাল কাইথকে।
১৮ মে জাতীয় ফুটবল ক্যাম্প শুরু হচ্ছে কলকাতায়। আপাতত উপলক্ষ্য দুটো ম্যাচ। এক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটা প্রীতি ম্যাচ। তারপর রয়েছে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে হংকংয়ের মোকাবিলা করা। গ্রুপ সি-তে ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ, হংকং ও সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম লেগের খেলা হয়ে গিয়েছে শিলংয়ে। এবার ভারত যাবে হংকং-এর সঙ্গে খেলতে। সেই ম্যাচ হবে ১০ জুন। তার আগে ভারত থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটা প্রীতি ম্যাচ খেলবে ৪ জুন। থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্র্যাকটিশ ম্যাচ খেলার পিছনে একটাই উদ্দেশ্য, যাতে হংকং-এর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।
কলকাতায় জাতীয় ক্যাম্প হবে ১০ দিনের। এই ক-দিনের মধ্যে মনোলোকে দল গুছিয়ে নিতে হবে। একটাই বঁাচোয়া, গতবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলার আগে সেভাবে ক্যাম্প করার সুযোগ পাননি মানোলো। সেই সময় আইএসএল-এর খেলা চলছিল। ফুটবলাররাও ছিল ক্লান্ত। এবার সেসব নেই। তাই ফুটবলারদের অনেকটা তরতাজা অবস্থায় পাওয়া যাবে। গ্রুপ সি-র মজা হল, চারটে দল একই পংক্তিতে দঁাড়িয়ে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ যেমন ড্র হয়েছিল। উল্টোদিকে হংকং ও সিঙ্গাপুরের খেলাও অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। তাই চারটে দল এক পয়েন্ট নিয়ে এক সারিতে আপাতত দাঁড়িয়ে। জাতীয় ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ভারতীয় দল হল এইরকম-
গোলরক্ষক: ঋত্বিক তিওয়ারি, বিশাল কাইথ, গুরমিত সিং চাহাল, অমরিন্দর সিং। ডিফেন্ডার: নওরেম রোশন সিং, রাহুল ভেকে, কনশাম চিংলেনসানা সিং, আনোয়ার আলী, থাংজাম বরিস সিং, সন্দেশ ঝিংগান, আশিস রাই, শুভাশিষ বোস, মেহতাব সিং, টেকচাম অভিষেক সিং, নিখিল প্রভু। মিডফিল্ডার: সুরেশ সিং ওয়াংজাম, নওরেম মহেশ সিং, আয়ুষ দেব ছেত্রী, উদন্ত সিং কুমাম, লালেংমাওইয়া রালতে, লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ান, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেস। ফরোয়ার্ড: সুনীল ছেত্রী, ইরফান ইয়াদওয়াদ, মনবীর সিং, সুহেল আহমেদ ভাট, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। প্রধান কোচ: মানোলো মার্কেজ।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই