পিএসজি-৪ (জোয়াও নেভেস-২, আভিলেশ (আন্তঘাতী), হাকিমি) ইন্টার মায়ামি-০
পুরোন দল। মনের মধ্যে জমে থাকা অভিমান উগরে দেবেন। এমন নানান কথা ভেসে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাতাসে। মাঠে দেখা গেল ঠিক উল্টো ছবি। পিএসজি-র আক্রমণের ঝড়ে যেন উড়ে গেল ইন্টার মায়ামি। বিরতির আগে ইউরোপ সেরা দল এগিয়ে ছিল ৪-০ গোলে। বিরতির পর মেসির মায়ামি ঘুরে দঁাড়াবার চেষ্টা করেছিল। কোনও লাভ হয়নি। ফলাফল থেকে গেল সেই এক জায়গায়। তার মানে মায়ামিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল ফরাসি ক্লাব।
সকাল যেমন দিনের আভাস দেয়, ঠিক তেমনি পিএসজি শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছিল, তারা এসেছে জিততে। খড়কুটোর মতো মায়ামিকে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। খেলার শুরুতে নিশ্চিত গোল বঁাচিয়ে দেন মেসি বাহিনির গোলকিপার। খেলার সময় একটু গড়াতে না গড়াতে গোলের দেখা পেয়ে যায় পিএসজি। ফ্রি-কিক পেয়েছিল পিএসজি। ভিতিনহা সেই বল এমন জায়গায় রেখেছিলেন যেখানে অরক্ষিত অবস্থায় এসে হেডে গোল করে দিয়ে চলে যান নেভেস। দ্বিতীয় গোল পায় পিএসজি ৩৯ মিনিটে। এবারও গোল করে যান নেভেস। বারকোলার উদ্দেশ্যে বাসকোয়েতস বল বাড়িয়ে ছিলেন। সেই বল ডান দিকে তিনি বাড়িয়ে দেন। রুইজ বল ধরে মাঝের দিকে স্কোয়ার পাশ খেলতেই ফঁাকায় থাকা নেভেস গোল করে গেলেন। তৃতীয় গোলটি হয় আত্মঘাতী। ডান দিক থেকে দাউর ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে অ্যাভিলেস জালে ঢুকিয়ে দেন। বিরতির আগে ইনজুরি টাইমে ফের গোল করে যায় পিএসজি। এবার গোলটি করেন হাকিমি। তঁার প্রথম শট ক্রসবার লেগে ফিরে এলে সেই ফিরতি বল থেকে গোল করতে হাকিমি কোনও ভুল করেননি।
এই প্রথম পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করলেন নেভেস।
চার গোল শুধু প্রতীকি হিসেবে ধরা উচিত। পিএসজি দেখিয়ে দিয়েছে ইউরোপ সেরা দলগুলো কতটা ভয়ংকর হতে পারে। প্রতিযোগিতার শুরুতে তারা ঢেঁড়িয়েছে। ভাল খেলতে পারেনি। কিন্তু যত সময় গড়াচ্ছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে ইউরোপের দলগুলো। চেলসি আগেই চলে গিয়েছে। এবার শেষ আটে ঢুকে পড়ল পিএসজি। টক্কর দিচ্ছে কেবলমাত্র ব্রাজিলের দলগুলো। ইতিমধ্যে পালমেইরাস কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার জায়গা পাকা করেছে। মেসিকে প্রথম ৪৫ মিনিট খঁুজেই পাওয়া যায়নি। এমন কী প্রথম একাদশে থাকা সুয়ারেজও ছিলেন সুপার ফ্লপ। বিরতির পর মেসি কিছুটা ঘুরে দঁাড়ান। বেশ কয়েকবার তঁার পায়ের জাদু লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও গোলের রাস্তা খঁুজে পাননি তিনি। শেষ মুহূর্তে একটা ফ্রি-কিক পেয়েছিল ইন্টার মায়ামি। আগের মেসি হলে এই জায়গা থেকে গোল করা ছিল তঁার কাছে সহজ উপায়। এখন তিনি অতীতের ছায়া। ওয়ালে গিয়ে লাগল তঁার নেওয়া শট। মেসি বিদায় নিলেন। ক্লাব বিশ্বকাপ এমনিতেই জৌলুস অনেকটা হারিয়েছে। মেসির মতো তারকারা না খেলা মানে আরও জনপ্রিয়তা হারাবে ক্লাব বিশ্বকাপ।