সারা বিশ্ব জুড়ে লিওনেল মেসির জন্মদিন উত্্সবের চেহারা নিল। প্রতিটি দেশে বলতে গেলে মেসি ভক্তরা নেমে পড়েন তঁার জন্মদিন পালন করতে। ৩৮ বছরে পা দিলেন মেসি। সারা বিশ্বের সঙ্গে মেসির জন্মদিন জঁাকজমক সহকারে পালন করল মোহনবাগান। স্বয়ং মেসির উপহার দেওয়া জার্সি তুলে দেওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাবের হাতে। সেই জার্সি মোহনবাগানকে দেন শতদ্রু দত্ত। স্বয়ং আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মোহনবাগান লিখে সই করা আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সি দিয়েছিলেন শতদ্রুকে। সেই জার্সি শতদ্রু দিয়ে গেলেন মোহনবাগানকে।
এমনিতেই কলকাতাবাসী বরাবর মেসি ভক্ত। যেহেতু গত কয়েক বছর আগে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলে গিয়েছেন। ফলে মেসির প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা রয়েছে শহরবাসীর। সেইজন্য সকাল থেকে নানান জায়গায় মেসির জন্মদিন পালন করা হয়। শতদ্রু কিছুদিন আগে মেসির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানেই মেসি নিজে আর্জেন্টিনা জার্সির উপর স্বাক্ষর করে মোহনবাগান লিখে জার্সি দিয়েছিলেন। সেই জার্সি মোহনবাগানের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই উপলক্ষ্যে একটা অনুষ্ঠান করে মোহনবাগান। যদিও সেই অনুষ্ঠান ছিল অনাঢ়ম্বর। ফেব্রুয়ারি মাসে শতদ্রু ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছিলেন। সেখানে মেসি তঁাকে এই জার্সি দিয়েছিলেন। সেই জার্সি ক্লাবের সচিব সৃঞ্জয় বোস ও সভাপতি দেবাশিস দত্তের হাতে তুলে দেন। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। মোহনবাগানের পক্ষ থেকেও একটা জন্মদিনের কার্ড তুলে দেওয়া শতদ্রুকে। যেখানে তঁার জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মোহনবাগান। এই কার্ড ও শুভেচ্ছা বার্তা মোবাইলে ছবি তুলে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে মেসির কাছে। যেখানে লেখা থাকবে ভারতের জাতীয় ক্লাব মোহনবাগান ৩৮ বছরে পা দেওয়াকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সির উপর স্বয়ং মেসি মোহনবাগান লিখে সই করে দিয়েছেন।
মোহনবাগান ক্লাবের সচিব সৃঞ্জয় বোস বলছিলেন, “মেসি স্বয়ং মোহনবাগান লিখে নিজে সই করে জার্সি পাঠিয়েছেন। এরচেয়ে বড় গর্বের বিষয় আর কিছু হতে পারে না। মেসি হলেন বিশ্বসেরা ফুটবলার। সেই মেসি যখন মোহনবাগানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই জার্সি দিয়েছেন তখন আমাদের গর্বের অন্ত নেই। মোহনবাগান অতীতে অনেক কিংবদন্তীদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছে। তবে মেসির স্বাক্ষর করা মোহনবাগান লেখা এই জার্সি তারমধ্যে ব্যতিক্রম হয়ে থাকবে। আমরা তঁার জন্য জন্মদিনে একটা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালাম। যেন তঁার ফুটবল জীবন দীর্ঘায়িত হয়।”