মোহনবাগান-১ (সুহেল ভাট) এফসি গোয়া-১ (ব্রাইসন)
পুরো আইএসএল খেলা দল। বিদেশিতে ভরা। সেই শক্তিশালী গোয়াকে কিনা প্রথম ৪৫ মিনিটে রুখে দিল মোহনবাগান। যাদের তুলনায় শক্তির বিচারে অনেক পিছিয়ে। কেরল ব্লাস্টার্সকে হারানোর পর অনেকে বলেছেন ফ্লুকে জিতে গিয়েছে বাস্তব রায়ের দল। কিন্তু গোয়ার বিপক্ষে মোহনবাগান েচাখে চোখ রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নাহলে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও গোল করতে পারত না মোহনবাগান। গোয়াকে অন্তত ৪৫ মিনিটে বোঝাতে পেরেছে তরুণ-তুর্কিরা, যদি তোমরা গোল কর তাহলে প্রস্তুত থেকো গোল খাওয়ারও। তাই প্রথমার্ধ খেলার শেষে মোহনবাগান-গোয়া ১-১ গোলে ড্র চলছে।
খেলা শুরুর ২০ মিনিটের মাথায় কর্ণার পেয়েছিল গোয়া। কর্ণার থেকে ডান প্রান্তে যে বল ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা ব্রাইসন হেড করে বলের গতিপথ পাল্টে দেন। গোলকিপার ধীরাজ সিংয়ের কিছু করার ছিল না। গোয়া গোল দেওয়ার পর মনে হয়েছিল, চাপটা বোধহয় আর নিতে পারবে না মোহনবাগান। কিন্তু তিন মিনিট পরেই পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করে চলে গেলেন সুহেল ভাট। তবে এই গোলের জন্য পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে আশিক কুরিনিয়নকে। তিনি বঁা দিক থেকে দ্রুত উঠে এসে যে ক্রশ রাখেন তা আলতো পুশে গোল করে চলে যান সুহেল।
খেলার শুরু থেকে গোয়ার চাপ ছিল অনেক বেশি। যদিও কখনও সহজ গোলের সুযোগ পেয়েছে তা বলা যাবে না। কিন্তু বল পজিশন থেকে ছোট ছোট পাশ খেলে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া, সবেতেই গোয়ার দাপট ছিল অনেক বেশি। তখন মোহনবাগান যা করতে চেয়েছে তা গোয়ার কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। মিনিট দশেক পরে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরে আসতে শুরু করে বাস্তবের ছেলেরা। তারপর থেকে দেখা যায় ডান প্রান্ত ধরে বারবার আক্রমণ চালাচ্ছেন সালাউদ্দিন। কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম গোল করার পেছনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। বুধবারও দেখা যায় গতিতে বেশ কয়েকবার তিনি বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের হার মানিয়েছেন। তবে কাজের কাজটি করতে পারেননি। প্রথম ৪৫ মিনিটে মোহনবাগান বোঝাতে পেরেছে তরুণ-তুর্কিরাও কোনও অংশে পিছিেয় নেই। এখন দেখার বিষয় হয়ে রইল বাকি ৪৫ মিনিট কীভাবে নিজেদের মেলে ধরে দু-দল। নিঃসন্দেহে চাপে আছে গোয়া। পুরো দল নিয়ে যারা ওড়িশা এসেছে তারা যদি মোহনবাগানের মতো দুর্বল দলের কাছে হেরে বসে তাহলে কেউ ছেড়ে কথা বলবে না। তারউপর এফসি গোয়ার কোচ হলেন মানোলো মার্কেজ। যিনি আবার কিনা জাতীয় দলের কোচ। সুতরাং হারলে যে তঁারও লজ্জার শেষ থাকবে না। এখন দেখা যাক, মরিয়া মনোভাব নিয়ে খেলা মোহনবাগান শেষ হাসি, না গোয়া পূর্ণশক্তির দল নিয়ে অনায়াসে পৌছে যাবে ফাইনালে।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই