পাঁচে পাঁচ। এমনটা করতে পারলে প্লে অফ খেলবে কেকেআর। তার আগে একবার পা ফস্কে গেলে সব শেষ। তাই বৃষ্টি শহরকে স্বস্তি দিলেও নাইট শিবিরে অস্বস্তি। এমন জায়গা থেকে প্লে অফ খেলা সহজ নয়। এর আগে অবশ্য দুবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কেকেআর। ২০১৪ ও ২০২১-এ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দল ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও এবার খুব একটা আশায় নেই ক্রিকেট ফ্যানরা। দলের খেলার ধরন দেখে অনেকেই ভরসা পাচ্ছেন না। তাই মুখে একটাই কথা পাঞ্জাব ম্যাচ থেকে ভাগ্যিস এক পয়েন্ট এসেছে। এটাই হয়তো প্লে অফ খেলার দরজা খুলে দিতে সাহায্য করবে। কিন্তু তার আগে তো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। সেটা কি পারবে কেকেআর।
এক পয়েন্ট পাওয়া খেলায় আশার কথা শোনালেন বৈভব অরোরা। রাতে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসে তিনি বলেন, আমরা আশা ছাড়ছি না। বলা যায় না এই পয়েন্ট পরে অনেক বড় হয়ে উঠবে। তাই এই পয়েন্ট নিয়ে আমরা দিল্লি যাব। সেই ম্যাচ জিতে গেলে ছন্দ ফিরে আসবে। তারপর ঘরের ম্যাচে কিুটা সুবিধা তো পাওয়া যাবে। তাই এখনই হাল ছেড়ে দেওয়ার কিছু হয়নি।
বৈভব বলছেন বটে, কিন্তু কাজটা মোটেও সহজ নয়। এতদিন বলা হচ্ছিল, কেকেআরের ব্যাটিং ক্লিক করছে না। তাই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বোলারাই বা কি করছেন! বোর্ডে ২০০ রান নিয়ে খেলা শুরু করা সহজ কাজ নয়। বৃষ্টি না হলে কেকেআরের জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যেত। ২০২ রান করে ম্যাচ বের করা কঠিন হয়ে পড়ত। ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে পাওয়েলকে দলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি এবারই প্রথম দলে ঢুকলেন। এসেই মাত করে দেওয়ার মতো ক্রিকেটার কি পাওয়েল! তাঁর উপর কতটা ভরসা করা যায়। এ নিয়ে ইডেনে প্রশ্ন কম ছিল না। তাই জয় নিয়েও নিশ্চয়তা তেমন দেখা যায়নি।
পাঞ্জব টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেকেআর জিতলে আগে ফিল্ডিং করে নিত। তাই টস হারা বা জেতায় কোনও সুবিধা কেউ পায়নি। কিন্তু তারপর! তারপর আমরা কি দেখলাম। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার সব কিছু শেষ করে দিলেন। একসময় মনে হয়ছিল, তারা হয়তো রাহানেদের ঘাড়ে ২২০-২৩০ রানের বোঝা চাপিয়ে দেবে। ভাগ্যিস সেটা ২০১ রানে শেষ হয়ে গিয়ছিল। কিন্তু পেসারদের সঙ্গে স্পিনাররা কি করলেন। দুই স্পিনাররা কোনও চাপ তৈরি করেত পারলেন না। বরুন বা নারইনরা কোথায় বল ফেলবেন তা বুঝে উঠতে পারলেন না। চেতন সাকারিয়াক দলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি দলে না এলে পাওয়েলের খেলার সম্ভাবনা থাকত না। সেই সাকারিয়াকে ম্লান দেখাল। রানাও তেেমনই। একমাত্র অরোরাকে কিছু একটা করে দেখাবার মতো মনে হল। এমন বোলিং নিয়ে কেকেআর কতটা লড়াই করবে। এ নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
দিল্লির বিরুদ্ধে এমন বোলিং হলে অসুবিধা আছে। দের ব্যাটিং বেশ ভাল। তার উপর ব্যাটসম্যানরা ফর্মে। তাই এমন বোলিং নিয়ে কেকেআর কতটা পাল্টা দিতে পারবে! জানা নেই। একটা ম্যচ বের করতে পারলে কাজ সুবিধা হবে। না হলে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা হবে। সেখান থেকে কি রাহানেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এখন সেটাই প্রশ্ন।