এনসি ক্লাসিকে আরশাদ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে যেভাবে নীরজ চোপড়ার সমালোচনা করা হচ্ছে তাতে তিনি ক্ষুব্ধ। তাই বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে নীরজ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যেভাবে তঁার সমালোচনা চলছে তা সহ্যের অতীত। নিজস্ব বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নীরজ বলেছেন, “অবাক হয়ে যাচ্ছি, এনসি ক্লাসিকে আরশাদ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে যেভাবে আমাকে সমালোচনা করা হচ্ছে তারজন্য সত্যিই কি আমাকে দায়ী করা উচিত? গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, আরশাদকে এনসি ক্লাসিকে খেলতে আসার জন্য বলায় আমাকে যা নয় তাই বলা হচ্ছে। বুঝতে পারছি না, এসব বলার মানে কী। অনেকেই আমাকে দেখছেন ঘৃণার চোখে। বুঝতে পারছি না, আমন্ত্রণ জানিয়ে কী দোষ করলাম। আরও দুঃখের বিষয় হল, আমার পরিবারকেও টেনে আনা হচ্ছে সমালোচনার কেন্দ্রে। কেন যে এসব হচ্ছে তাই বুঝতে পারছি না।” বেঙ্গালুরুতে আগামী মাসে ২৪ মে অনুষ্ঠিত হবে এনসি ক্লাসিক। নীরজ চোপড়ার নামেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ী নীরজ এনসি ক্লাসিক প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য বিশ্বের সেরা থ্রোয়ারদের সঙ্গে আরশাদ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। যিনি গত অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু পহেলগঁাওতে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার পর অনেকেই এখন টার্গেট করে ফেলেছেন নীরজকে। যেহেতু তিনি আরশাদকে এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। “আরশাদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলাম, একজন ক্রীড়াবিদ আর একজন ক্রীড়াবিদকে যেভাবে সম্মান জানায়, সেইভাবে তাকে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। এর বেশি কিছু যেমন নয়, আবার কমও নয়। এনসি ক্লাসিক করার প্রধান উদ্দেশ্য হল বিশ্বের সেরা ক্রীড়াবিদদের নিয়ে এসে এই প্রতিযোগিতায় নামানো। বিশ্বের দরবারে অ্যাথলেটিক্সকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা। পহেলগঁাওতে যেদিন সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায় তার দু-দিন আগে বিশ্বের সেরা জ্যাভলিন থ্রোয়ারদের আমন্ত্রণ জানাই।” নীরজ স্বীকার করে নিচ্ছেন, পহেলগঁাওতে এমন বিশ্রি ঘটনার পর আরশাদকে হয়তো আর আসতেই দেওয়া হবে না। তিনিও মনেপ্রাণে চাইছেন না আরশাদ এই প্রতিযোগিতায় নামুন। “আমি সবসময় আমার দেশকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। তাই দেশের স্বার্থ সবার আগে দেখব। যারা ভারতবাসীর ক্ষতি করতে চায় তাদের নিশ্চয় আমন্ত্রণ জানাতে যাব না। এরজন্য ভারতীয় জনগণের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। সমগ্র ভারতবাসীর সাথে যা ঘটেছে তাতে আমি আহত শুধু নই, প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।” শুধু এইটুকু বলে থেমে যাননি নীরজ। তিনি আরও বলেন, “আমি এতবছর ধরে ভারতবাসী হিসেবে নিজেকে গর্বিত বলে মনে করি। সেই জায়গায় দঁাড়িয়ে যদি আমার সততা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন তখন কষ্ট হতে বাধ্য। আরও খারাপ লাগছে, এমন সব লোকদের সামনে গিয়ে আমাকে ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে যারা আমার পরিবারকে কোনও যুক্তি ছাড়াই গালমন্দ করতে ছাড়ে না। আমরা সরল প্রকৃতির মানুষ। দয়া করে আমাদের অন্যকিছু পরিচয়ে খাড়া করবার চেষ্টা করবেন না। কিছুদিন ধরে দেখছি, মিডিয়াও ক্রমাগত আমাকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে। যা নয়, তাই মিথ্যে বলে চালাবার চেষ্টা চলছে। আমি সাধারণত কম কথা বলি। এখন যদি কম কথা বলাকে অনেকে সত্য বলে মনে নেয় তাহলে সত্যি আমার বলার কিছু থাকে না।” গতবছর প্যারিস অলিম্পিকে আরশাদ জ্যাভলিন থ্রো-তে সোনা পান। রুপো পেয়েছিলেন নীরজ চোপড়া। সোনার পদক ছেলের হাতছাড়া হলেও অখুশি ছিলেন না নীরজের মা। তঁার বক্তব্য ছিল, নীরজ পায়নি তো কী হয়েছে। ঘরের ছেলে তো আরশাদও। তার সোনার জয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে নীরজ বলেন, “মানুষের মত যে কীভাবে সহজে পরিবর্তন ঘটে যায় তা এখন বুঝতে পারছি। অলিম্পিকের পর আমার মা সরলতার সঙ্গে বলেছিলেন, আরশাদও আমার ছেলে। তখন প্রশংসার ঝড় উঠে গিয়েছিল। সকলে তঁার এই মন্তব্যকে বাহবা দিতে ছাড়েননি। অথচ এখন তারাই কিনা বিরূপ মন্তব্য করতে পিছপা নয়।”

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই