পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনায় নেমে পড়লেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। সেই ক্রীড়াবিদ কারা? নীরজ চোপড়া ও বীরেন্দ্র শেহবাগ। অথচ কিছুদিন আগেও নীরজকে তীব্র সমালোনার সামনে ফেলে দিয়েছিলেন কতিপয় ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমী। নীরজের দোষ কি ছিল? কেন তিনি পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার আরশাদ নাদিমকে এনসি ক্লাসিকে আমন্ত্রণ জানালেন। এবার নিশ্চয় সেইসব সমালোচক নীরজকে বিশ্রি মন্তব্য থেকে রেহাই দেবেন। হয়তো অনুশোচনা করতে পারেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনির কৃতিত্বকে জোরালো সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন নীরজ চোপড়া ও বীরেন্দ্র শেহবাগ। সেই সঙ্গে দুজনে জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া গিয়েছে। এবার আশা করা যায় ভারতে সন্ত্রাসবাদীদের হামলা করার জন্য পাকিস্তান সাহস জোগাবে না। পাহেলগামে ঘটনার সূত্র ধরেই ভারত উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিতে। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের বেশ কিছু শহরে ড্রোন পাঠিয়ে ধ্বংস করেছে। সন্ত্রাসবাদীদে আতঁুড়ঘরকে ভেঙে দিয়েছে। অথচ পাকিস্তানের যখন উচিত ছিল ব্যাপারটার জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা, তা না করে পাকিস্তান কিনা নেমে পড়েছে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে শেহবাগ তঁার নিজস্ব এক্স হ্যান্ডেলে অভিমত জানাতে গিয়ে বলেছেন, “পাকিস্তানের উচিত ছিল এই সময় নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া। চুপ হয়ে থাকা। অথচ সেই সময় তারা কিনা যুদ্ধ করতে নেমে পড়ল। পাকিস্তানিরা চায় সন্ত্রাসবাদীদের সম্পদ রক্ষা করতে। তাদের স্বার্থ বজায় রাখতে। তাই একের পর এক ভুল বক্তব্য তুলে ধরতে চাইছে। আমাদের সেনা বাহিনি উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। যা কখনও ভুলতে পারবে না পাকিস্তান।” শেহবাগ যখন পাকিস্তানিদের কঠোর সমালোচনা করেছেন, তখন পিছিয়ে থাকেননি নীরজ চোপড়াও। তিনিও এক্স হ্যান্ডেলে নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন, “সাহসী সশস্ত্র বাহিনিকে নিয়ে আমরা গর্বিত। এদের জন্য আমাদের গর্ব করা উচিত। ভারতীয় সেনারা শুধু সন্ত্রাসবাদীদের ধ্বংস করতে চাইছে তা নয়। জাতির জন্য আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এবার সকলে আসুন, আমরা আমাদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করি। সকলে যেন সরকারের নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা চালাই। জয় ভারত, জয় ভারত কি সেনা।” নীরজের এক্স হ্যান্ডেলে এমন পোস্ট দেখে অনেকে অবাক। বিশেষ করে যে বা যঁারা কিছুদিন আগে তীব্র সমালোচনার সামনে ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের সোনার ছেলেকে। দু-বার অলিম্পিক পদক জয়ীকে।
পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ভারতের ২৬জন নাগরিক হত্যার কোলে ঢলে পড়ার পর সারা দেশ জুড়ে তীব্র ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানিরা। আপামর জনগণ চাইছিলেন, ভারত সরকার যেন উপযুক্ত শিক্ষা দেয় পাকিস্তানকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানিয়ে ছিলেন, পাহেলগামের ঘটনার উচিত শিক্ষা দেবেন। তারই ফলস্বরূপ অপারেশন সিঁদুর অভিযান শুরু করেছে ভারত। প্রথম দিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের নয়টি ঘঁাটি ধ্বংস করে দেয়। তারপর থেকে এক একটা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ভারত। কখনও তারা ধ্বংস করছে পাকিস্তানের সেনা ঘঁাটি। কখনও সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় ফেলে আসছে বিস্ফোরক। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে সবদিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান। তাই ভারতবাসীও আজ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেমে পড়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে। এখন দেখার শেষমেশ কোথায় গিয়ে যুদ্ধ দঁাড়ায়।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই