সময়ের ব্যবধান মাত্র এক মাইক্রো সেকেন্ড। আর তাতেই হাতছাড়া হল সোনার পদক। নাহলে ভারতের ঝুলিতে একটা সোনা আসা নিশ্চিত ছিল। সেই নিশ্চিত সোনা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন নীতিন গুপ্ত। একেই বোধহয় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। নাহলে নীতিন যেখানে শেষ ৫০ মিটারেও এগিয়ে ছিলেন। যেখানে সকলে ধরেই নিয়েছিলেন, ভারতের সোনা পাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। সেখানে কেন এমন ঘটবে? বুধবার সৌদি আরবের দাম্মামে ষষ্ঠ এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৮ অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ৫০০০ মিটার দৌড়ে ভারতের নীতিন গুপ্ত রুপো পেলেন। সোনা পেয়েছেন চিনের ঝু নিংহাও। চিনের ঝু যেখানে ৫০০০ মিটার দুরত্ব অতিক্রম করতে সময় নিয়েছেন ২০ঃ২১.৫০ সেকেন্ড। সেখানে নীতিনের একই দুরত্ব অতিক্রম করতে সময় গিয়েছে ২০ঃ ২১.৫১ সেকেন্ড। তৃতীয় স্থানে ছিলেন চাইনিজ তাইপের শেং কিন লো। তঁার সময় গিয়েছে ২১ঃ ৩৭.৮৮ সেকেন্ড। মাত্র এক মাইক্রো সেকেন্ডের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর স্বভাবতই নীতিন পড়ে গিয়েছেন প্রশ্ন চিহ্নের সামনে। তাহলে কি নীতিন শেষ মুহূর্তের দৌড়ে ভেবে নিয়েছিলেন, তঁার জয় নিশ্চিত? তঁাকে হারানোর জায়গায় নেই চিনের ঝু? অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ডুবিয়ে দিল নীতিনকে? ১৭ বছরের নীতিন গত মাসে পাটনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯ঃ২৪.৪৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের করা জাতীয় রেকর্ড ভেঙেছিলেন। সুতরাং তঁার ৫০০০ দৌড়ে কম সময় করার ক্ষমতা যে রয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না। যারজন্য রুপো পাওয়ার পরও সমালোচনার সামনে পড়ে গিয়েছেন নীতিন গুপ্ত। যদিও দাম্মামের মিটে নিজের করা রেকর্ড তিনি ভাঙতে পারেননি। তবে নীতিন দেখালেন আগামী দিনে ভারতের সম্ভাবনাময় এক অ্যাথলিটের উদয় ঘটছে। যিনি আগামী দিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে নিজের পদচিহ্ন রেখে আসতে পারবেন।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের