রাত পোহালেই ডার্বি। তার আগে শেষ মুহূর্তের ছক সাজাতেই ব্যস্ত ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। আর সেই পরিকল্পনা লুকোতেই তিনি নন, ডার্বির মতো ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন বিনো জর্জ(Bino George)। ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। কিন্তু তার আগেই ইস্টবেঙ্গল কোচের বিশেষ স্ট্র্যাটেজি। মোহনবাগানকে(MBSG) আটকাতে তাঁর ছক যাতে কেউ বুঝতে না পারে, সেজন্য ডার্বির মতো ম্যাচেরও সাংবাদিক সম্নেলনেই এলেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ(Eastbengal) অস্কার(Oscar Bruzon)।
ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। কিন্তু সেইসময় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডে ছিলেন না রবসন রবিনহো(Robson Robinho)। এই মুহূর্তে মোহনবাগানের হয়ে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে গোলের মধ্যে রয়েছেন দিমিত্রি পেত্রাতস। সেই কথা মাথায় রেখেই অতি সাবধানী ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। ম্যাচের আগের দিন প্রতিপক্ষ শিবিরের শক্তি নিয়ে কথা শোনা গেল বিনো জর্জের(Bino George) মুখেও। একইসঙ্গে হিরোশি ইবুসুকিকে(Hiroshi Ibusuki) নিয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসের সুরই শোনা গেল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) দলের অন্দর থেকে। শনিবারই লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে তাঁর।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিনে জর্জ জানান, “মোহনবাগান অত্যন্ত শক্তিশালী দল। ওদের রিজার্ভ দলও বেশ শক্তিশালী। আনরা সবটাই জানি। সেই কারণেই তো প্রতিটি অনুশীলনে ফুটবলারদের মোটিভেট করে গিয়েছি আমরা। ফুটবলাররা ডার্বির জন্য অত্যন্ত তেঁতে রয়েছে”।
গতবারের তুলনায় এবার ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ অনেকটাই ওপরের দিকে। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে যেটা লাল-হলুদ শিবিরের কাছে সবচেয়ে বড় স্বস্তির, তা হল তাদের দলে কোনওরকম চোট আঘাত নেই। সেটাই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে সবচেয়ে অন্যতম প্রধান আত্মবিশ্বাস ইস্টবেঙ্গলের কাছে।
বিনো জর্জ জানিয়েছেন, “আমাদের দলের প্রত্যেকে চোটহীন অবস্থায় রয়েছেন। সেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াচ্ছে। সেইসঙ্গে আমাদের দলের ফুটবলাররাও ভালোভাবেই এই ম্যাচের গুরুত্ব জানেন। তাদের মোটিভেট করেই চলেছি আমরা। লড়াই করতে প্রস্তুত আমাদের দল”।
এই ম্যাচ দিয়েই আবার অভিষেক হবে হিরোশি ইবুসুকির। প্রথম ম্যাচেই ডার্বি। সেখানে কি হিরোশি পারবেন তিনি পারফরম্যান্স দেখাতে। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসী। হিরোশিকে প্রথম দিনই নাকি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ম্যাচের গুরুত্ব। তিনিও প্রস্তুত, এখন শুধুই মাঠে নামার অপেক্ষা।