একেবারে গোপনেই হয়ে গেল মিটিংটা। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কোচ অস্কার ব্রুনজোর মিটিং হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু বিকেলে ক্লাবের ইতিহাসের উপর তৈরি তথ্যচিত্র উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার রাতেই শহর ছাড়বেন অস্কার। তাই বৃহস্পতিবার সময় বার করা যাচ্ছিল না। সে কারণেই অত্যন্ত গোপনে বুধবারই মিটিংটা সেরে ফেলা হল।
না, এই মিটিংয়ে ছিলেন না ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ইমামি কর্তা বিভাস আগরওয়াল এর সঙ্গে কোচ অস্কারের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিটিও অময় ঘোষাল। পরে যোগ দেন ফুটবল ডিরেক্টর থংবই শিংটো।
প্রথমে কোচের ব্যাপারে দুপক্ষের কিছু আলোচনা হয়ে যায়। তারপর দল গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। কোচ সব বিদেশিকেই ছেড়ে দিতে চান কিন্তু ক্রেসপো, হিজাজি, দিয়ামন্তাকসের সঙ্গে দু বছরের চুক্তি আছে। তাই ঠিক হয় তাঁদের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত হবে। কারণ তাঁদের ছাড়তে গেলে বড় অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে দিমির ব্যাপারে একটু দুর্বলতা আছে কোচের। তাঁর ব্যাপারে একটু নরম মনোভাব। তাই দিমির সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করবে ম্যানেজমেন্ট। হিজজি ও ক্রেসপোর ব্যাপারে অবশ্য অস্কার যে অনড়, সেটা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। হিজাজির ছুটি হয়ে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। ক্রেসপোর পরিবর্ত হিসাবেও তিনি দু তিনটি নাম জানিয়ে দিয়েছেন। এখন তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারটা পুরোপুরিই ইমামির কোর্টে। এই পরিস্থিতিতে
আলোচনায় কোচ অস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বিদেশিদের মধ্যে আপাতত তিনি অন্তত একজন উইঙ্গার একজন স্ট্রাইকার ও একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার চান। হেক্টর ইউসতে আগেই সরে গিয়েছেন। এখন সেলিস ও মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়ে গেল। এই তিনজনের বদলেই কোচের চাহিদা মত প্রথমে তিন পজিশনের ফুটবলার নেওয়া হবে।
থংবই শিংটো মিটিংয়ে ফুটবলারদের একটি দীর্ঘ তালিকা জমা দেন। যাতে ভারতীয় ফুটবলারের সংখ্যাই বেশি। কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারের নামও তালিকায় আছে। সেটা নিয়েও আলোচনা হল। আপাতত নিজের মতামত জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরে যাচ্ছেন অস্কার। এবার প্রক্রিয়া শুরু হবে। দেশি ও বিদেশি ফুটবলার বাছাই করে আগামী মরশুমের জন্য তৈরি হবেন অস্কার।
মিটিং হল কাজ শুরু হবে, কিন্তু প্রশ্ন তো একটা থেকেই যাচ্ছে। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার বাছাইয়ের পদ্ধতিটাই ভুল। তাই ভুগতে হচ্ছে। এবার কি সেই পদ্ধতি বদলাবে? না হলে কিন্তু লাল হলুদের হাল ফেরা সত্যিই কঠিন।