আইপিএলের শুরুতে তিনি ছিলেন কলকাতয় আইকন। কেকেআরের অধিনায়ক। কিন্তু দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যায়। ঘর ছেড়ে তাঁকে বাইরে চলে যেতে হয়। কলকাতা থেকে ঠিকানা বদল। তিনি তখন পাকাপাাকিভাবে পুনেতে নাম লেখান। কিন্তু সেখানে গিয়েও সুবিধা করতে পারলেন না। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মন কষাকষি। ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে এক বিশ্রি ঘটনা ঘটল। তারপর আর তাঁকে ব্যাট হাতে বাইশ গজে দেখা যায়নি। ক্রিকেটার থেকে হয়ে যান ক্রিকেট কর্তা।
সে সব অনেকদিন আগের কথা। আইপিএলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এর বেশি কিছু লেখার নেই। জাতীয় দলে যা পেয়েছেন, তা নিয়ে একটা ইতিহাস লেখা যায়। আইপিএল সে কথা কখনই বলবে না। কিন্তু এই ফরম্যাট থেকে চোখ সরাতে পারেননা। এখন দশ দলের টুর্নামেন্টে কোথায় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে দেখা না গেলেও টিভি থেকে চোখ সরাতে পারেননা। কি করে সরে থাকবেন। একসময় দিল্লি ক্যাপিটালসের বড় দায়িত্বে ছিলেন। সেই দল এখনও তাঁকে টানে। তাঁদের সাফল্যে মন নেচে ওঠে। তাই এবার আইপিএল নিয়ে কথা উঠতে চোখ নেচে উঠল। বললেন, আমার দল তো দারুন খেলছে। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। প্লে অফ দেখতে পাচ্ছি। এবং সেটা হলে পরবর্তী লড়াইয়ে অন্য দিল্লিকে দেখা যাবে।
কিন্তু বাঙ্গালি তো দিল্লি নিয়ে বেশি উৎসাহী নয়। তদের প্রিয় দল কেকেআর। সেই দলের অবস্থা এমন কেন! ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দাঁড়িয়ে। প্লে অফ খেলতে হলে অন্তত ১৬ পয়েন্টে যেতে হবে। সেখানে গেলেও যে প্লে অফ খেলা যাবে তা নিশ্চিত রে বলা যাবে না। তবে আশা করা যায়। কিন্তু এই জায়গা থেকে ১৬ পয়েন্টে পা রাখা যে কঠিন ব্যাপার। সৌরভকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনও অনেক সময় আছে। এই জায়গা থেকে কেকেআর দারুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ওদের সময় দিন। হয়তো এরাই আগামি ম্যাচে চমক দিতে পারবে।
সত্যিই কি তাই! সাত ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। লিগের লড়াইয়ে এখনও সাতটি ম্যাচ খেলতে হবে। এই সাতের মধ্যে পাঁচটিতে জিততে হবে। কিন্তু শাহরুখের দলের খেলা দেখে তাদের উপর কেউ বাজি লাগাবার সাহস পাবেননা। হতাশা আরও বেসি করে কাজ করছে অন্য কারনে। পাঞ্জবের বিরুদ্ধে ১১২ রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর ৯৫ রানে অলআউট। ভাবা যায়! সৌরভের সামনে এই পারফরম্যান্সের কথা মেলে ধরলে তিনি বলেন, ক্রিকেটে এমন ঘটন ঘটতেই পারে। তাই বলে কোনও দলকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ওদের সময় দিতে হবে। ওরা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এখনও সাত ম্যাচ বাকি। অনেক কিছু হতে পারে। তাই আমাদের শেষ কথা বলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ক্রিকেটে একটি নতুন দায়িত্ব সৌরভের উপর পড়েছে। তিনি আবার টেকনিকাল কমিটির চেয়ারম্যান। এর আগেও তাঁকে এই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছিল। আবার তিনি পুরনো চেয়ারে ফিরে এসেছেন। এখানে কি চাপ বেশি থাকে! সৌরভ বলছিলেন, অনেক কাজ করতে হয়। কত নতুন নিয়ম ক্রিকেটে ঘুরে ফিরে আসছে। সেটা ঠিক কিনা তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। আগামি জুলাইয়ে আমরা এ নিয়ে বব। সেখানে দেখা হবে কোনটা ক্রিকেটের জন্য সঠিক। আবার কোনওটার দরকার নেই। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না আমরা কোনদিকে পা ফেলব।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের