স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড। ভাইরাল হয়ে যাওয়া বক্তব্যে বদল আনলেন সুনীল গাভাসকর। হেডিংলেতে ঋষভ পন্থের সেঞ্চুরি দেখার পর তিনি বলছেন, সুপার্ব, সুপার্ব, সুপার্ব। এবার কিন্তু মাঠে আলাদা করে স্ট্রেচার ও অ্যাম্বলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
হঠাৎ করে কেন গাভাসকর একথা বলছেন। সুপার্বের কথা নিয়ে প্রশ্ন নেই। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি দেখার পর একথা বলাই যায়। কিন্তু স্ট্রেচার বা অ্যাম্বুলেন্স কেন! কারন আছে। সেঞ্চুরির পর পিচের পাশে এসে গ্লাভস খুলে পন্থের সামারসল্ট দেখে গোটা স্টেডিয়ামে হাসির রোল উঠল। হাসতে মানা কোচ গম্ভীরও অনেকটা সময় হাসলেন। সেই সামারসল্ট দেখে গাভাসকর বলছেন, ওর জন্য এসবের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে কখন…..!
আইপিএলে আরসিবির বিরুদ্ধে ঋষভ পন্থকে এই মেজাজে দেখা গিয়েছিল। গোটা আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টাসের হয়ে পারফর্ম করতে পারছিলেন না। অনেকেই তাঁকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু আরসিবি ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর মাঠে তাঁর সামারসল্ট দেখে সকলেই হাততালি দিয়ে উঠেছিলেন। দেখে মনে হয়েছিল, নিজের ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভ এই সামারসল্টের মধ্যে দিয়ে ছেঁটে ফেললেন। এবর হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পর এক ঘটনা। উল্টোদিকে দাঁড়ানো গিল সামনে এগিয়ে আসতে তাঁকে থামিয়ে পন্থ আগে সামারসল্ট দিলেন। তারপর গিলকে বুকে টেনে নিলেন।
এই কারনেই হয়তো হেডিংলেতে মেগা হিট পন্থের সামারসল্ট। ক্রিকেটফ্যানরা অভিভূত। খেলার শেষে তাঁরা বলছেন, দারুন লাগল। আমরা অবাক। ক্রিকেট মাঠে এমন ঘটনা আগে দেখিনি। আমরাও চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। একজন নিজের বড় পেট দেখিয়ে বললেন, এটার জন্য সামারসল্ট সম্ভব নয়। তবে চোখের সামনে পন্থকে দেখে দারুন লাগল। এটাই টেস্ট থেকে বাড়তি পাওয়া।
শুধু ফ্যানরাই নন, প্রাক্তনরাও মেনে নিচ্ছেন, পন্থের মতো সামারসল্ট দেওয়া সহজ নয়। রবি শাস্ত্রী বলছেন, এটা নিয়ে কারোর কথা থাকতে পারে ন। এক একজন ক্রিকেটার তার আনন্দ এক একরকমভাবে সামনে আনে। ঋষভ পন্থের এটাই পছন্দ। সেটাই ও করেছে।
জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক বলছিলেন, আমার তো দারুন লাগল। ওর ব্যাটে রান দরকার চিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকদিন রানের মধ্যে ছিল না। এার সেটা সিরিজের শুরুতে করল। এর থেকে ভাল কিছু আর কি হতে পারে। আমি ছেলেবেলায় এমন করতাম। আমাকে বাড়ি থেকে জিমনাস্টিক্সে ভর্তি করে দিয়েছিল। শিখেছিলাম। কিন্তু এখন ও সব করতে পারব না। পন্থের মতো সামারসল্ট দেওয়া তো সম্ভবই নয়।
আর এক প্রাক্তন চেতেশ্বর পুজারা বলছিলেন, আমি একসময় চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু করতে পারিনি। ওটা আমাকে দিয়ে হবে না। পন্থের মধ্যে বাড়তি কিছু করার তাগিদ থাকে। এক একসময় এক একরকম করে। আইপিএলে দেখেছি। এবার টেস্টে দেখলাম। ভালই লাগল। গোটা স্টেডিয়াম ওকে দেখে খুশি। ব্যাট হাতে চমক দেওয়ার পর সামারসল্ট, দুটোই মানুষকে আনন্দ দিয়েছে। আর কি চাই।