কেকেআরের কাছে হারের পর সিএসকে অধিনায়ককে নিয়ে সমালোচনা থামেমি। আইপিএলকে তিনি কবে গুডবাই জানাবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সোমবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে সকলে উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন। ঋষভ পন্থদের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে জয়ের পর ধোনিকে নিয়ে শুরু হল অন্যরকম আলোচনা। টনা পাঁচ ম্যাচ হারের পর জয়ের সরণীতে পা ফেলল চেন্নাই। এবং সেটা সম্ভব হল অধিনায়ক ধোনির সৌজন্যে। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে নিজের কাজ ঠিকভাবে করার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১১ বলে ২৬ রান। শিভম দুবেকে নিয়ে ষষ্ট উইকেটে ২৭ বলে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ। এরপর ম্যাচের সেরা বাছাই করতে কারোর অসুবিধা হয়নি। সবাই ধোনিকে বেছে নিলেন। পুরস্কার হাতে নিয়ে সিএসকে অধিনায়ক বললেন, এখনও এই পুরস্কার হাতে পেতে ভাল লাগে। মনে হয়, দলের জন্য কিছু একটা করতে পেরেছি। এরপর আর কি চাই!
৪৩ বছর বয়সে দলকে জেতাচ্ছেন। সেরার পুরস্কার পাচ্ছেন। তরুনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছোটা ধোনিকে দেখে সবাই হিংসে করতে পারেন। একানা স্টেডিয়ামের চেহারা দেখলে মনে হবে না চিপকের বাইরে এসে ধোনিরা খেলতে নেমেছেন। গোট গ্যালারি হলুদ ফুলে ঢাকা। অনেকের হাতেই ধোনির পোস্টার। এসব দেখে কি বাকিদের মনে জ্বালা ধরে না! মনে হয় না আর কতদিন তিনি এভাবে দলকে টেনে নিয়ে যাবেন। মানুষের মনে আলাদা জায়গা করে নেবেন। নিশ্চয় হয়। তাঁরাও তো মানুষ। কিন্তু তাঁদের একপাশে রেখে সব কিছু নিজের দিকে টেনে নিয়ে চলেছেন ধোনি। তাই সিএসকে মানেই ধোনি। আর ধোনি মানে …..!
লিগ টেবিলের তলানিতে থাকা সিএসকে আদৌ কি উপরে উঠতে পারবে! এই প্রশ্ন ধোনির মধ্যেও ছিল। তাই দললে কিছু বদল করে পন্থদের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন। ওপেন নিয়ে আসেন শেখ রাশেদকে (১৯ বল খেলে ২৭ রান)। কনওয়ের বদলে আসেন ওভারটন। খুব এখটা সুবিধা করতে পারছেন না বলে অশ্বিনকে এদিন বাইরে রাখা হয়। তবে বদল নয়, লখনউ ক্রিকেটারদের ভুলে শুরুতে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে সিএসকে। ২৩ রানে দুটি উইকে যাওয়ার পর পন্থ এসে হাল ধরেন। উইকেট মন্থর ছিল। শট নেওয়া সহজ ছিল না বলে পন্থ স্ট্রাইক রোটেড করে খেলার চেষ্ট করেন। আগের ম্যাচগুলিতে রান পাননি। এদিন ৪৯ বল খেলে ৬৩ রানের ইনিংস দলকে ভরসা দেয়। তবে ১৬৬ রান ম্যাচ জয়ের পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। খেলা শেষে নিজেই স্বীকার করে নিলেন। বলছিলেন রানটা ১৯০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে জেতা সম্ভব ছিল। কিন্তু যা হয়নি তা নিয়ে আলোচনা করার কোনও মানে হয় না। তবে লখনউকে আটকে দিয়েছিলেন বাঁহাতি চায়নাম্যান নুর আমেদ। উইকেট না পেলেও কৃপন বোলিং করে গেলেন। তাঁর বোলিং গড় ৪-০-১৩-০। ভাবা যায়! এই ফরম্যাটে এই বোলিংকে তো সবাই স্বপ্নের বোলিং বলবেন। হ্যাঁ, নুরের কারনেই মাঝপথে আটকে গেল লখনউ।
তবে আগের ম্যাচগুলিতে পাওয়ার প্লে-তে সুবিধা করতে পারছিল না সিএসকে। সেটাই তাদের চাপে ফেলে দিচ্ছিল। এদিন পাওয়ার প্লে-তে উঠল ১ উইকেটে ৫৯ রান। রাশেদ সিএসকে প্রোডাক্ট। অনেকদিন এই দলের সঙ্গে আছেন। ২০ বছরের রাশেদ সুযোগ পেলেন দলের বাকিরা কিছু করে উঠতে পারছেন না বলে। তিনি খারাপ খেললেন না। ধোনির সার্টিফিকেট পেয়ে মানসিক দিক থেকে হয়তো নিজেকে চাঙ্গা করতে পারবেন। তাঁর পাশাপাশি রচিনের ৩৭ রান ছাড়া বলার মতো কিছু ছিল না। ত্রিপাঠি, জাদেজা, বিজয় শঙ্কররা ব্যর্থ হওয়ায় চাপে পড়ে যায় সিএসকে। সেই চাপ কাটিয়ে দলকে জয়ে ফেরাতে মাঠে আসেন ধোনি।
তারপর যা হওয়ার তাই হল। পন্থ প্রথমে ব্যাট করার সময় হেলিকপ্টার শটে বলকে মাঠ পার করেছিলেন। ধোনি পাল্টা দিলেন। এক হাতে তিনি শার্দুলের বল মিড উইকেটের উপর দিয়ে গ্যালারিতে ফেললেন। সঙ্গে শিভম দুবে মানানসই হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ৩৯ বল খেলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকলেন। এবং উইনিং স্ট্রোক তাঁর ব্যাট থেকেই এল। খেলার শেষে শিভম বলছিলেন, আগের ম্যাচগুলিতে রান পাইনি। এদিন তিন উইকেট তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার পর ঠিক করে নিই শেষপর্যন্ত ব্যাট করব। এম এস এসে বোলারদের ঘাড়ে চেপে বসতে ম্যাচ আমাদের দিকে ঢলে পড়ল। আমার কাজ সজ করে দিল এম এসের আক্রমানত্মক ব্যাটিং।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের