আর্সেনাল ০–১ পিএসজি
নিজেদের মাঠে খেলা। রিয়াল মাদ্রিদকে হারানো আর্সেনালের সমর্থকরা তাই স্টেডিয়ামে ঢুকেছিলেন দলের জয়ে সাক্ষী থাকবেন ভেবে। কেউ নিজেদের আসন সংগ্রহ করেছেন। কেউবা আসন সংগ্রহের জন্য চেষ্টা করছেন। ঠিক সেই সময় পুরো স্টেডিয়াম মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল। কেন? পিএসজি যে গোল করে দিয়েছে। খেলা শুরুর চার মিনিটে গোল করে উসমান দেম্বেলে এগিয়ে দিয়েছেন পিএসজিকে। যদিও এই গোলের কৃতিত্ব পুরোপুরি নিতে পারেন খিচা কাভারাস্কেইয়ার। বঁা দিকে উঠে এসে আর্সেনালের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে বল বাড়ান দেম্বেলেকে। বল রিসিভ না করেই চলতি বলে বঁা পায়ে যে শট নিলেন দেম্বেলে তা সরাসরি জড়িয়ে গেল জালে। ব্যস এই ১-০ ব্যবধান যে শেষমেশ খেলার ভাগ্য গড়ে দেবে তা বোধহয় আর্সেনালের সবচেয়ে বড় শত্রুও ভাবেনি।
দেম্বেলে যদি গোল করে নায়ক হন, তাহলে পিএসজির আসল হিরো হিসেবে তুলে ধরতেই হবে গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে। আর্সেনালের নিশ্চিত গোলের পাঁচটা সুযোগ তঁার বিশ্বস্ত হাত বঁাচিয়ে দিয়েছে। এমিরেটস স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ৬০ হাজার দর্শক উপলব্ধি করলেন, একজন গোলকিপার একটা দলকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। একটা কথা মানতেই হবে, রিয়ালের বিপক্ষে যে দাপট দেখা গিয়েছিল তার ছিটেফেঁাটাও এদিন পিএসজির বিপক্ষে দেখাতে পারেনি আর্সেনাল। বল দখল থেকে শুরু করে বিপক্ষের বক্সে গিয়ে শট নেওয়া, নিখঁুত পাশ বাড়ানো, সবকিছুতেই গানারদের টেক্কা দিয়ে গিয়েছে প্যারিসিয়ানরা। আসলে পিএসজির কোচ লুইস এনিরিকের হোমওয়ার্ক ছিল বেশভাল। উল্টোদিকে রিয়ালকে হারানোর জন্যই হোক বা ঘরের মাঠে খেলাই হোক, আত্মতুষ্টিতে বোধহয় ভুগছিলেন মিকেল আর্তেতার ছেলেরা। রিয়ালের বিপক্ষে গোলমুখি শট ছিল আর্সেনালের যেখানে ১১টা, সেখানে পিএসজির বিরুদ্ধে পঁাচটার বেশি নিতে পারেনি। বিরতির পর গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে ছিলেন আর্সেনালের ডেকলান রাইসের সেট পিস থেকে হেডে গোল করে মিকেল মেরিনো। কিন্তু প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায়, অফসাইডে ছিলেন মেরিনো। রেফারি গোল বাতিল করে দেন। আর্সেনাল যেমন গোল করার জন্য মরিয়া ছিল উল্টো দিকে পিএসজি গোল সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পিছিয়ে থাকেনি। আগামী বুধবার ফের দু-দল মুখোমুখি হবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে। খেলা হবে প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে। ধরেই নেওয়া যায়, খেলতে নামবে পিএসজি কিছুটা বাড়তি মনোবল নিয়ে।