শুরুতেই চমক। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী প্যারিস সঁা জঁা প্রতিপক্ষকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে পিএসজি ৪-০ গোলে জিতে যায়। মাত্র কয়েকটা দিন আগে ৩১ মে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ঝড়ো আক্রমণে উড়িয়ে দিয়েছিল ইন্টার মিলানকে। সেই ম্যাচে পিএসজি জিতেছিল ৫-০ ব্যবধানে। রবিবারের খেলায় পিএসজির গোলদাতারা হলেন-ফ্যাবিয়ান রুইজ, ভিতিনহা, সেনি মায়ুল ও লি ক্যাং ইন। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি।
৩২টা দলকে নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের খেলায় এই ম্যাচের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যেহেতু ইউরোপের দুটি দল গুণগত মানে অনেক এগিয়ে। তবু অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারল না। পিএসজির হয়ে আবার খেলেননি উসমান দেম্বেলে। যেহেতু তিনি ৬ জুন ফ্রান্সের হয়ে খেলার সময় চোট পান। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলা দলের মধ্যে কেবলমাত্র একটা পরিবর্তন করেছিলেন কোচ এনরিকে। তিনি হলেন দেম্বেলের জায়গায় গঞ্জালো রামোস। তবে অ্যাটলেটিকো বিরতির পর দশজনে খেলে। খেলা হচ্ছিল ক্যালিফোর্নিয়ায় দুপুরে। সেই ঠা ঠা রোদে দঁাড়িয়ে পিএসজির খেলোয়াড়দের সারাক্ষণ উদ্বু্দ্ধ করে গেলেন কোচ এনরিকে।
শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ফরাসি দল। ১৯ মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রুইজ। পেনাল্টি সীমানার বাইরে বল পেয়েছিলেন। সেই জায়গা থেকে দুরন্ত শটে গোল করে যান তিনি। তবে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোলশোধ করার সুযোগ পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গোল করতে ব্যর্থ হন জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা। অথচ পর মুহূর্তে গোল করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ভিতিনহা। বিরতির পর ফের পিএসজির হয়ে গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। ভারের সাহায্য নিয়ে রেফারি সেই গোল বাতিল করেন। যেহেতু গোল করার সময় কোকে ডিজায়ারকে ফাউল করেছিলেন। তবে ৭৮ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর ক্লিমেন্ট লেঙ্গেল্টকে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। যার দরুন স্প্যানিশরা হতাশায় ডুবে যায়। রিজার্ভ বেঞ্চে তখন দেখা যায় রেফারির সিদ্ধান্তকে খোলা মনে মেনে নিতে পারেননি মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনে। তাছাড়া ফুটবলারদের ক্রমাগত ভুলকে খোলা মনে মেনে নিতে পারছিলেন না। ৮২ মিনিটে ফের গোল করার জায়গায় চলে গিয়েছিল মাদ্রিদ। কিন্তু আলেকজান্ডার সোরলোথ ফঁাকা গোল পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি। এই ঘটনার পঁাচ মিনিট পর গোল করে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন। গোলটি করেন সেনি মায়ুল। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ফের গোল পেয়ে যায় ফরাসি দল। এবার পেনাল্টি থেকে গোল করে যান লি।
ম্যাচের সেরা পিএসজির ভিতিনহা পরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বলার কিছু নেই। খুব ভালো খেলেছি। প্রচুর গরম ছিল। তবু দলের প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ নিঃসন্দেহে ভাল দল। সেই কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের খেলা কখনও খারাপ হয়নি। শুরু থেকে শেষাবধি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতেই ছিল।” সেইসঙ্গে ভিতিনহাকে বলতে আরও শোনা যায়, “একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে, ফুটবলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হল বড় ব্যাপার। সেই কারণে আমরা সবসময় চেষ্টা করি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগোতে।” পিএসজি কোচ এনরিকেও দলের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। তঁার মতে, “প্রত্যেকে তাদের সেরাটা দিয়েছে। একজন কোচ হিসেবে অবশ্যই এরজন্য খুশি হওয়া উচিত। এখন সামনে এই পথ ধরেই চলতে হবে।”