পাঞ্জাব কিংস: ৮ উইকেটে ২০৬ (২০ ওভার)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ৪ উইকেটে ২০৮ (১৯.৩ ওভার)
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে আইপিএলে খেলতে নামা মার্কাস স্টোয়নিসকে দিয়ে এত পরিশ্রম করানো ঠিক হয়নি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের। শেষ ওভারের জন্য অন্য কাউকে ভেবে রাখতে পারেন তিনি। ডেথ ওভারে ব্যাটিং করতে নেমে স্টোয়নিস নিজের সবটুকু দিয়ে ফেলেছিলেন। তারপর কুড়ি ওভার ফিল্ডিং করা তাঁর পক্ষে বেশি হয়ে গিয়েছিল। তাই নিজেকে ঠিকভবে মেলে ধরতে পারলেন না। শেষ ওভারের তিন নম্বর বলকে মাঠের বাইরে ফেলে সমীর রিজভি দিল্লিকে জিতিয়ে দিলেন। এতে দিল্লির লিগ টেবিলে বিরাট কিছু সুবিধা হয়নি। তারা ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে শেষ করল। আর পাঞ্জাব! তারা ১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল। দিল্লিকে হারাতে পারলে পাঞ্জাব লিগ টেবিলের একনম্বর জায়গাটি নিতে পারত। কিন্তু সেট আর হল কোথায়। তাই এক থেকে চার নম্বরে কে থাকবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থেকেই গেল। গুজরাট আরসিবি ও পাঞ্জাবের মধ্যে গিলরা এক পয়েন্ট বেশি পেয়ে একধাপ এগিয়ে। কিন্তু বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়াররা দুয়ে দাঁড়িয়ে। ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট করে মুম্বই তাদের পিছনে। তাই আইপিএলের প্লে অফ শুরুর আগে খেলা জমে উঠেছে। এখন দেখার ব্যাপার এটাই যে প্লে অফ কেমন হয় সেটাই দেখার।
শুরুতে যা বলছিলাম, সেদিকে তাকানো যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার মার্কাস স্টোয়নিস করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে যান। সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে তিনি আবার পাঞ্জাব দলে যোগ দিয়েছেন। একজন রসিকত করে বলছিলেন, দেশে ফিরে স্টোয়নিস কি ভ্যাকসিন দিলেন যে ব্যাটিং পাওয়ার এতটাই বে়ড়ে গেল। সত্যিই তাই। ডেথ ওভারে ব্যাট করতে নেমে তিনি ১৬ বলে করলেন অপরাজিত ৪৪ রান। ২৭৫ স্ট্রাইক রেটে খেলে তিনি এই রান করেন। আর সেখান থেকেই পাঞ্জাব দুশো পার করে ফেলে। এর জন্য অবশ্য দিল্লি দুর্বল ফিল্ডিংয়ের কথা বলতে হবে। ক্যাচ হাতছাড়া তো আছেই, সঙ্গে বল গলিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে তারা পাঞ্জাবকে সুবিধা করে দেন। স্টোয়নিসকে একবার পেয়ে গিয়েছিলেন কুলদীপ। কিন্তু তাঁর বোলিংয়ে স্টোয়নিসের ক্যাচ ফেলে দেন মোহিত শর্মা। শুধু একবার নয়, আরও বেশ কয়েকবার দিল্লি ক্যাচ ফেলেছে। না হলে অনেক আগে ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি। স্টোয়নিসের পাশপাশি শ্রেয়স আইয়ারও নজ কেড়েছেন। শুরুতে দুটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তিনি ৩৪ বলে করেন ৫৩ রান।
দিল্লির হয়ে রাহুল ও অধিনায়ক ডুপ্লেসি শুরুটা ভালই করেন। প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৫.৩ ওভারে ৫৫ রান। করুন নায়ার করেন ৪৪। তবে সবাইকে অবাক করে দেন উত্তরপ্রদেশের সমীর রিজভি। ম্যাচের সেরা রিজভি ২৫ বলে করেন অপরাজিত ৫৮ রান। বলা যায় তাঁর ব্যাটিং দাপটে দিল্লি শেষ ম্যাচ জিতে আইপিএল শেষ করল।