পাঞ্জাব কিংস: ৫ উইকেটে ১৫৭ (২০ ওভার)
আরসিবি: ৩ উইকেটে ১৫৯ (১৮.৫ ওভার)
কদিন আগে বেঙ্গালুরুর মাঠে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারিয়ে গিয়েছিল আরসিবি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ ২০ ওভারের বদলে নেমে আসে ১৪ ওভারে। এই ওভার কমে যাওয়ার পর আরসিবি ব্যাটাররা হঠাৎ করে মানসিকতা বদলে ফেলল। উইকেটে এসে দুমদাম মার। এই স্ট্র্যাটেজিতে খেলতে গিয়ে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনে। কেউ একজনও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেননি। টিম ডেভিড শেএষ ওভারে মারকুটে মেজাজে ২১ রান না করলে ৯৫ রানও উঠত না বোর্ডে। এই রান টপকে ম্যাচ বের করে নেয় পাঞ্জাব।
পরের ম্যাচেই আবার শ্রেয়সদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে হঠাৎ করে পরিবর্তন চোখে পড়ল আরসিবির খেলার মধ্যে। বিশেষ করে বিরাট কোহলি। প্রথম ওভারে সল্ট আউট হওয়ার পর দায়িত্ব পুরোপুরি কাঁধে তুলে নেন বিরাট। এবারের আইপিএলে এই মেজাজে ব্যাট করছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই উইকেট ছুঁড়ে দেব না। অন্যদিক থেকে যাঁরা আসছেন, আক্রমনের দায়িত্ব তাঁদের ঘাড়ে থাকবে। সেই ভাবনায় ফল দিয়েছে। আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিতে দশ পয়েন্ট নিয়ে ছুটছে আরসিবি। বাকি ছয় ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট তুলতে পারলে প্লে অফে যাওয়া কিছুটা হলেও সহজ হবে। সেভাবেই এগোচ্ছে আরসিবি। এই দশ পয়েন্টে পাঞ্জাবও দাঁড়িয়ে। তই এই পর্যায়ে লড়াই পরে আরও কঠিন হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
পাঞ্জাব ১৫৮ রানের টার্গেট আরসিবির সামনে দিয়ে প্রথম ওভারে তারা ফিল সল্টকে তুলে নেয়। অর্শদীপ কোনও সুযোগ দিলেন না সল্ট। কিন্তু তারপর বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাড়িকাল লম্বা ইনিংস খেললেন। আগে উপরে আসতেন অধিনায়ক পাতিধার। কিন্তু এই ম্যাচে পাড়িকালকে আগে পাঠানো হল। তিনি আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেললেন। ৩৫ বলে করলেন ৬১ রান। এই ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি। স্ট্রাইক রেট দেখলে বোঝা যাবে কেমন মেজাজে ছিলেন পাড়িকাল। ১৭৫ স্ট্রাইক রেট খেলে তিনি দলকে ভরসা দিলেন। ১২ ওভারে বিরাটকে নিয়ে তুললেন ১০৩ রান। এখানেই পাঞ্জাব বেশ কিছুটা পিছনে চলে গেল।
আরসিবির একদিকের উইকেটে বিরাট থাকায় সতীর্থদের আত্মবিশ্বাসে কখনই চিড় ধরে না। কারন, সকলেই জানেন কিছু না হলেও বিরাট হাল ধরে নেবেন। সেটাই হল। পাতিধারকে চাহাল ফিরিয়ে দিলেও আরসিবির ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি। বিরাট স্লগে কিছুটা আক্রমনাত্মক হয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত বিরাট ৫৪ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকলেন। তঁর ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি। ১৮.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ বের করে আনল আরসিবি। সাত উইকেটে জিতে এখন তারা ১০ পয়েন্ট নিয়ে লড়াইয়ে ভালরকম থাকল।
পাঞ্জাব কদিন আগে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল। তার বদলা বিরাটরা নিয়ে গেলেন মুল্লানপুরে এসে। আসলে পাওয়ার প্লে-তে ভাল করেও পাঞ্জাব আটকে গেল মিডলওভারে রান তুলতে না পেরে। শ্রেয়স আবার ব্যর্থ (৬)। একদিকে দাঁড়িয়ে কেউ বড় রানের ইনিংস খেলতে পারলেন না। এখানেই মার খেল পাঞ্জাব। না হলে লড়াই ভাল হত। রান ১৮০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে আরসিবি সহজ ম্যাচ বের করতে পারত না।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ পাঞ্জাব কিংস ৫ উইকেটে ১৫৭ ( প্রিয়াংশ আর্য ২২, পি সিং ৩৩, শ্রেয়স ৬, ইনলিস ২৯, শশাঙ্ক ৩১, জানসেন ২৫, পান্ডিয়া ২৫ রান ২, সুযশ ২৬ রানে ২)
আরসিবি ৩ উইকেটে ১৫৯ ( বিরাট ৭৩ অপরাজিত, পাড়িকাল ৬১, পাতিধার ১২, জিতেশ ১১ অপরাজিত)