কোপা দেল রে-র ফাইনালের আগে ধুন্ধুমার কান্ড। রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা ম্যাচ হবে কিনা তাই নিয়ে যে জমজমাট নাটক হয়ে গেল তা বিশ্ব ফুটবলকে নাড়া দেওয়ার মতো ঘটনা। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অন্য কেউ নন, ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচেয়া। যার বিরুদ্ধে রিয়াল অভিযোগ জানায়। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রিকার্দো খেলালে তারা ফাইনাল বয়কট করবে। ওয়াকওভার পাওয়ার দরুন চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে বার্সেলোনা। একটা টুর্নামেন্টের ফাইনালে কখনও ওয়াকওভার হতে পারে? নাকি সম্ভব? তারওপর আবার রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা মুখোমুখি হবে। শেষমেশ রিয়াল সিদ্ধান্ত বদলায়। জানিয়ে দেয়, তারা ফাইনাল খেলবে। প্রশ্ন হল, ঝামেলার কারণ কি? কেনই বা ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রিয়ালের? ঘটনার মূলে কিন্তু রেফারি রিকার্দো ও ভার প্রধান পাবলো গঞ্জালেস ফুয়ের্তোসের। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কিছু আপত্তিকর কথা রিয়ালের বিরুদ্ধে বলেন রেফারি। তঁার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে চাউর হতেই রিয়াল সঙ্গে সঙ্গে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, তঁাদের বিরুদ্ধে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করা হয়েছে। তবে ঘটনার সূত্রপাত এসেছে রিয়ালের থেকেই। কীভাবে? ফাইনাল ম্যাচে রিকার্দোর নাম রেফারি হিসেবে ঘোষণা হতেই রিয়াল টিভিতে একটা ভিডিও দেখানো হয়। যে ভিডিওতে অতীতে রিয়ালের বিরুদ্ধে যেসব ভুল করেছেন তার কিছু ক্লিপিংস তুলে ধরা হয়েছিল। এরফলে রিকার্দোর ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়ে। তাই সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন রিকার্দো। ইনি রেফারি হলেও আসলে একজন ডেন্টাল ফিজিশিয়ান। তাই তঁার কর্মজীবনে প্রভাব পড়ে। তারউপর ছেলে স্কুলে গিয়েছিল। তার বন্ধুবান্ধবরা ছেলেকে চোর বলে ডাকতে থাকে। তাই স্কুল থেকে ছেলে কঁাদতে কঁাদতে ফিরে আসে বাড়িতে। রিকার্দো সাংবাদিক সম্মেলনে তাই প্রশ্ন তুলে দেন, “রিয়াল মাদ্রিদের টিভিতে দেখানো ভিডিওগুলো খুব মনযোগ দিয়ে দেখেছি। ফলে তার প্রতিক্রিয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এবার বলুন, আমার কি এসব প্রাপ্য ছিল? আমাকে এভাবে হেনস্থা করার মানে কি? আপনারা এর বিচার করুন। আমি অবশ্যই এর উত্তর চাইব।” পরমুহূর্তে রিকার্দো বলেন, “বাচ্চাকে যদি কেউ চোর বলে তখন একজন বাবা হিসেবে আমার কাছে যে কতটা লজ্জার তা ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সন্তানকে শেখাতে, বাবা একজন সম্মানীয় মানুষ। মানুষ মাত্রই ভুল করে। যে কোনও সম্মানীয় ব্যক্তি যদি বলে সে নির্ভুল, তাহলে বলব তিনি মিথ্যে বলছেন। তবে আমি যেদিন রেফারিং ছেড়ে দেব সেইদিন আমার সন্তান যেন বাবার রেফারিং নিয়ে গর্ববোধ করে।” ভার রেফারি পাবলো একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, “রিয়াল টিভিতে যা দেখানো হয়েছে তারই এসব ফল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ফুটবলাররা বিবৃতি দিচ্ছেন। তারপর সকলে মনে করছে আমরা আদৌ সততার সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করিনা। সকলকে ভাবতে হবে, আমাদের আত্মসম্মান আছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তা সকলের চিন্তা করা উচিত। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।” যাইহোক শেষমেশ মধুরেণ সমাপয়েত হয়ে গিয়েছে। ফলে কোপা দেল রে-র ফাইনাল নিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই