নোয়া সাদুইকে নিয়ে মাথাব্যথা এখন সবুজ-মেরুন শিবিরে। শনিবার মোহনবাগান সুপার কাপ অভিযানে নামছে। প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স। যারা কিনা প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সেই দলকে নিয়ে ভাবতেই হত না দ্বিমুকুট জয়ীদের, যদি না আইএসএল খেলা দলটা থাকতো। অধিকাংশ ফুটবলারকে বাদ দিয়ে সুপার কাপ খেলতে গিয়েছে মোহনবাগান। ভুবনেশ্বরের মাটিতে কেরলকে যদি এই দল হারাতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে চমক সৃষ্টি করবে। তা ভালমতোই জানেন কোচ বাস্তব রায়। তিনি কেরল বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দেখেছেন। তাই জানেন, খেলার ফল নিজেদের অনুকূলে আনতে গেলে কী করতে হবে। সেইজন্য ঠিক করে ফেলেছেন কেরলের প্রাণভোমরা নোয়াকে অকেজো করে দিতে। তারজন্য তিনি ঠিক করেছেন দীপক টাংরিকে ব্যবহার করবেন নোয়াকে আটকানোর জন্য। যদি দীপক নোয়াকে আটকে দিতে পারেন তাহলে মোহনবাগানের জয় তুলে নিতে বিশেষ সমস্যা হবে না। টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “কেরলের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে আমাদের মনে হয়েছে, নোয়া হল তাদের প্রধান সম্পদ। তাই নোয়াকে যদি রুখে দেওয়া যায় তাহলে না জেতার কোনও কারণ নেই। সেইজন্য আমরা ঠিক করেছি, নোয়াকে ধরে নেবে দীপক টাংরি। আর প্রতি-আক্রমণে দ্রুত উঠে আসবে আশিক কুরিনিয়ন। ফলে নোয়া বাধ্য হবে নিচে নেমে আসতে। নাহলে আশিককে থামানো সহজ হবে না। এই জোড়া ফলাতে আমরা কাবু করতে চাইছি কেরলকে।”
মোহনবাগানের এই দলটার কাছে প্রমাণ করার অনেক কিছু আছে। বিশেষ করে যারা ঠিকমতো খেলার সুযোগ আইএসএলে পাননি মূলত তঁাদের নিয়ে সুপার কাপে খেলতে গিয়েছে মোহনবাগান। ম্যাকলারেন, পেত্রাতোসদের মতো প্রতিষ্ঠিত বিদেশি ফুটবলাররা বাড়ি চলে গিয়েছেন। একমাত্র ডিফেন্ডার নুনো রেইসকে রেখে দিয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। যিনি কিনা এবারের আইএসএলে খেলেননি। তাছাড়া প্রথম একাদশেরও বলতে গেলে কেউ নেই। সাহাল আব্দুল সামাদকে রাখা হয়েছে সুপার কাপের দলে এই কারণে, যেহেতু তিনি চোট-আঘাতে দীর্ঘদিন জর্জরিত ছিলেন। তাছাড়া সাহাল ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। ফলে সাহালকে রেখে দেওয়া হয়েছে সুপার কাপের দলে। লেফট ব্যাক আশিক কুরিনিয়ন রাখা হয়েছে বলতে গেলে একই কারণে। তাছাড়া আশিক যদি ঠিকমতো ওভারল্যাপে উঠতে পারেন তাহলে প্রতিপক্ষ দল বিপদে পড়তে বাধ্য। দীপক টাংরি হয়েছেন সুপার কাপে মোহনবাগানের অধিনায়ক। সেইসঙ্গে সিনিয়র দল থেকে নেওয়া হয়েছে সুহেল ভাট, অভিষেক সূর্যবংশী, ধীরাজ সিংদের। ডেভলাপমেন্ট স্কোয়াড থেকে ্এসেছেন শিবাজিত সিং, সন্দীপ মালিক, রাজ বাসফোরদের মতো প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলাররা।
কেরল শনিবার ছয় বিদেশি নিয়ে মাঠে নামতে পারে। সুতরাং ধারে-ভারে এগিয়ে আছে কেরল। দলের কোচ বাস্তব রায় জানিয়ে দিলেন, প্রতিপক্ষ দলের কতজন বিদেশি আছেন তা নিয়ে তিনি আদৌ ভাবছেন না। বাস্তব বলছিলেন, “প্র্যাকটিশ করানোর সুযোগ সেভাবে পেলাম না। তবে আমার কাছে প্লাস পয়েন্ট হল, এরা সকলেই ম্যাচের মধ্যে ছিল। তাই ম্যাচ ফিট নিয়ে আমার দলে কোনও সমস্যা নেই। সিনিয়র ও জুনিয়রদের নিয়ে আমরা দলগঠন করেছি। সিনিয়র দল যেমন আইএসএলে লিগ-শিল্ড ও কাপ জিতেছে। তেমনি জুনিয়ররা আবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরএফডিএল। মাত্র তিন-চারদিনের প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। তাই বলে দলে চোট-আঘাত, ফিটনেস, কন্ডিসনিং নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যদি ঠিকমতো ছেলেরা বোঝাপড়া ঠিকমতো গড়ে তোলে তাহলে আমাদের ভাবতে হবে বলে মনে হয়না।” তাই বলে কেরলকে উড়িয়ে দিচ্ছেন তা নয়। বরং কেরলকে সমীহ করে বাস্তবকে বলতে শোনা গেল, “কেরল ব্লাস্টার্সের কোচ বদল হয়েছে। তারা তাই নবরূপে বলতে গেলে খেলতে এসেছে সুপার কাপে। দলটা বেশ ভালোই খেলছে। একদিক দিয়ে আমাদের ভালোই হয়েছে। কেরলের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ছেলেরা কেমন খেলে সেটাই দেখার বিষয় হয়ে রইল। আমরা তো প্রথম লক্ষ্য থাকবে, জুনিয়ররা ভাল খেলে সিনিয়র দলে নিজেদের জায়গা করে নিক। তাহলেই ভাববো কিছু করা গেল।”

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের