রোহিত শর্মার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল বিসিসিআই। সূত্রের খবর এমনই। রোহিত নাকি চেয়েছিলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির মত অবসর নিতে। তিনি বোর্ডকে জানিয়ে ছিলেন ইংল্যান্ড সফরে যেতে চান এবং সিরিজের মাঝপথে অবসর নিতে চান। যেমন ২০১৪ সালে ধোনি অস্ট্রেলিয়ায় অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু রোহিতের সে অনুরোধ নাকি মানা হয়নি। বরং নির্বাচকরা তাঁকে বলেছিলেন, ইংল্যান্ড সফরে যেতে, কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে নয়। এরপরই অবসরের কথা জানিয়ে দেন হিটম্যান।
রোহিত শর্মা কেন এভাবে হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। নানা রকম খবর ও কারণের কথাও উঠে আসে। শেষ পর্যন্ত সূত্র মারফৎ সংবাদ সংস্থা জানাল এই খবর।
রোহিত শেষ টেস্ট খেলেছিলেন অস্ট্রলিয়ায়। বেশ খারাপ ফর্মেই ছিলেন। এমনকী শেষ টেস্টে নিজেকে দল থেকে সরিয়েও নিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর অবসর নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের আগে টেস্ট ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানান তিনি।
রোহিত শর্মা অবসর নেওয়ার কয়েক দিন পরেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানান বিরাট কোহলিও। প্রায় একই সঙ্গে সরে যান দুই মহাতারকা। নির্বাচকদের যেমন নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে হবে, তেমনি এই দুই মহাতারকার শূন্যস্থান পূরণ করার চ্যালেঞ্জটাও আছে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে হয়ত আগামি শনিবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় দল ঘোষিত হবে। বেছে নেওয়া হবে নতুন অধিনায়ককেও। শুভমন গিলের হাতেই নেতৃত্ব ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল রোহিত-কোহলি যুগ। এবার গিল-পন্থদের হাত ধরে নতুন যুগের শুরু।