এখন ১৪। আট বছর আগে বাবার সঙ্গে ইডেনে খেলা দেখতে এসেছিলেন বছর ছয়েকের বাচ্চা ছেলে বৈভব সূর্যবংশী। সেদিন কি ভেবেছিলেন একদিন তাঁর খেলা দেখতে মাঠে ভিড় জমাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দুনিয়ায় কখন কি ঘটে যায় তা কেউ জানেন না। জিন্দেগী মে সব কুছ হোতা হ্যায়। সেটাই শনিবার দুপুরে হতে চলেছে। যখন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইডেনে প্র্যাকটিসে নামবেন আজকের ক্রিকেটের বিস্ময় বালক। রবিবার ইডেনে কি ঘটবে কেউ জানেন না। কেকেআরের সাফল্য দেখতে সবাই ভিড় করবেন ক্রিকেটের নন্দন কাননে। তারই মধ্যে অনেকের চাওয়ার শেষ নেই। তাঁরা চান বৈভবের একটি ভাল ইনিংস দেখতে। সঙ্গে অবশ্যই রাহানেদের জয়। এই দুয়ের মিশেলের কি দেখা মিলবে রবিবার শেষ বিকেলে ইডেনের বাইশ গজে!
রাজস্থানের কাছে নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। তারা আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছে। তবু পচ শামুকে পা কাটে। তেমন হলে রাহানেরা আইপিএল থেকে ছিটকে যাবেন। কারন এখন চারে চার করতে না পারলে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন হারিয়ে যাবে। দিল্লি জয় করে বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে শহরে এসেছেন ক্রিকেটাররা। অক্ষর প্যাটেলদের বিরুদ্ধে ১৪ রানে জয় দলকে তাতাচ্ছে। ঘরের মাঠে আবার ধাক্কা দিতে চায় কেকেআর। সেটা কি সম্ভব হবে!
তার আগে অনেকগুলি প্রশ্ন সামনে আসছে। প্রথমত কেকেআর অধিনায়ক কি রবিবার খেলতে পারবেন। দিল্লি ম্যাচে ডুপ্লেসির একটি শট আটকাতে গিয়ে হাতে বড় ধরনের চোট পান। হতে কয়েকটি সেলাইও পড়ে। ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগেও রাহানে পুরো ফিট নন। তিনি নিজেও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না যে রাজস্থান ম্যাচ খেলবেন। তবে আশা করা হচ্ছে য়ে রাহানে খেলবেন। তিনি ন খেললে দের ব্যাটিংয়ে বড় ধাক্কা। কারন এবারের আসরে অধিনায়ক রাহানে দলের হয়ে সব থেকে ভাল পারফর্ম করছেন। তাই এমন অবস্থায় নিজেকে সরিয়ে নিতে রাজি হবেন না রাহানে।
রাহানেকে নিয়ে বড় চিন্তা দেখা গেল না শিবিরে। দলে অস্বস্তি বাড়িয়েছে সহঅধিনায়ক বেঙ্কটেশ আইয়ারের ফর্ম। প্রায় ২৪ কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে কেকেআর। কিন্তু বদলে তিনি কি করছেন। একটি বড় ইিংস খেলা ছাড়া বিশেষ কিছু করতে পারেননি আইয়ার। সেটা দলকে বেশি করে ভোগাচ্ছে। রাহানে অবশ্য তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। তিন জানিয়েছেন, একটি ম্য়াচ রান পেয়ে গেলে বেঙ্কিকে রোখা যাবে না। হয়তো রবিবারের ম্যাচে ওকে দারুন মেজাজে খেলতে দেখা যাবে। আমরাও চাই তাড়াতাড়ি রানে ফিরুক বেঙ্কি। তা হলে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শুক্রবার প্র্যাকটিসে বেঙ্কির সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে দেখা গেল সহকারি কোচ অভিষেক নায়ারকে। তিনি নেটের পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন ঠিক কোথায় ভুল হচ্ছে আইয়ারের। নেটের পিছনে ছিলেন রাহানেও। তিনিও চাইছেন ভুল হলে সেটা প্র্যাকটিসের পর নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সমধান করতে।
শুধু আইয়ার নয়। রিঙ্কু ও রাসেলের ব্যাটেও রানের দেখা মিলছে না। রিঙ্কু দিল্লি ম্যাচে রন পেয়েছেন। তবে তাঁকে আগের মেজাজে দেখা যাচ্ছে না। যেমন দেখা যাচ্ছে না রাসেলকে। এদের ব্যাটে রান না এলে দল কীভাবে বড় ইনিংস খেলতে পারবে। রাসেল নেটে কিছুটা সময় কাটিয়ে বাইরে চলে এলেন। বরং রিঙ্কু অনেকটা সময় ব্যাট করে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে চাইলেন।
রবিবার যে পিচে খেল হবে, সেখানে তেমন ঘাস দেখতে পাওয়া গেল না। ধরে নেওয়া যেতে পারে স্লো টার্নার উইকেটে খেলতে হবে। তা হলে তিন স্পিনারে যেতে পারে কেকেআর। সুনীল ও বরুনের সঙ্গে আবার মইনকে খেলতে দেখা যাবে। আবার আগের ম্যাচে অনুকূল রায় খারপ বল করেননি। মইনের বদলে তিনি দলে ঢুকে পড়ত পারেন। কেকেআর শিবিরে এই সব যদি বা কিন্তুর প্রস্ন উঠে আসছে। সেটা নিয়ে কেকেআর মাঠ ছেড়ে হোটেলে ফিরে গেল।