মহম্মদ শামির সঙ্গে একমত হতে পারছেন না মিচেল স্টার্ক। শামি ডানদিকে গেলে স্টার্ক হাঁটছেন বাঁদিকে। বুধবার রাতে অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসকে সুপার ওভারে হারানোর পর দিল্লি ক্যাপিটালসের মিচেল স্টার্ক বলেন, সাদা বলের পালিশ ঠিক রাখতে স্যালাইভা বা থুতুর ব্যবহার না হলেও চলে। শরীরের ঘামে বলকে পালিশ করে নেওয়া যায়। বল চকচকে থাকে। পেস বোলাররা যা চায়, তা ঘাম ব্যবহার করলেই হয়। এটা দরকার লাল বলের ক্রিকেটে। সেখানে স্যালাইভা ন হলে পালিশ ধরে রাখা যায় না।
পাকিস্তান ও দুবাইয়ের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় মহম্মদ শামি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, স্যালাইভা ব্যবহার না করলে পেস বোলারদের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। করোনা কালে এটা বন্ধ করে দিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু এখন তো করোনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তা হলে ক্রিকেটে কেন স্যালাইভাকে ফিরিয়ে আনা হবে না। এর ব্যবহার না করলে পেসাররা রিভার্স সুইং ঠিকভাবে করাতে পারছে না। আমার তো বিশ্বাস স্যালাইভা বা থুতুর ব্যবহার আবার করা গেলে পেসাররা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
শামির সাক্ষাৎকারের পর আইসিসি ব্যান তুলে না নিলেও এবারের আইপিএলে স্যালাইভা ক্রিকেটে ফিরিয়ে এসেছে। আইপিএলে পেসাররা থুতু ব্যবহার করতে পারছে। এটাই কি পেসারাদের বাড়তি সুবিধ করে দিয়েছে! স্টার্ককে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সাদা বলের ক্ষেত্রে স্যালাইভার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমার বিশ্বাস ওয়ান ডে বা টি২০ ফরম্যাটে পেসাররা বলকে ঘেমে যাওয়া শরীরে লাগাতে পারলে সুবিধা হয়ে যায়। এগুলি ছোট ক্রিকেট। স্যালাইভা ব থুততু দরকার পড়ে লাল বলের ক্রিকেটে। সেখানে পাঁচদিনের খেলা। বলের পালিশ ঠিক রাখতে শরীরের ঘামে তা ধরে রাখা সম্ভব হয় না। স্যালাইভা ব্যবহার করলে পালিশ ঠিক থাকে। অন্যদের কথা বলতে পারব না। আমার মতে, স্যালাইভা সাদা বলে না লাগালেও চলে। লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে নামলে সেখানে আমি সবসময় চাইব স্যালাইভা যেন ব্যবহার করতে পারি।
আসলে স্টার্কের সামনে এই প্রশ্ন উঠে এসেছিল অন্য এক কারনে। বলা যায়, তাঁর দাপটেই রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচটি হারে। নির্দিষ্ট সময়ে ম্যাচ জিততে রাজস্থানের দরকার ছিল শেষ ওভারে ৯ রান। টি২০ ফরম্যাটে এই রান না করার কারন নেই। কিন্তু রাজস্থান আটকে যায় স্টার্কের পেসের সামনে। টানা ইয়র্কার করে ব্যাটসম্যানদের বড় স্ট্রোক নেওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। পুরান বা জুরেল, কেউই তাঁর বোলিংয়ের সামনে বড় স্ট্রোক নিতে পারেননি। শেষ ওভারে তাঁরা দুজনে ৮ রান তুলে ম্যাচ টাই করেন। ফলে ম্যাচ চলে যায় সুপার ওভারে।
সেখানেও এক ছবি। এবার পুরানের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন রিয়ান পরাগ। তাঁদের সামনে যথারীতি স্টার্ক। এবারও তাঁরা আটকে গেলেন। ১১ রানের বেশি রাজস্থান করতে পারল না। তার অবশ্য পাঁচ বল খেলে ইনিংস শেষ করেন। তার আগে দুজন ব্যাটসম্যান রান আউট হওয়ায় শেষ বল খেলার সুযোগ হয়নি রাজস্থানের। দিল্লি দুই ওপেনার কে এল রাহুল ও স্টাবস চার বল খেলে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। দিল্লি জিতল। আসলে জিতলেন মিচেল স্টার্ক। তাঁর দুটি ওভার রাজস্থান ব্যাটসম্যানদের সামনে কঠিন হয়ে দাঁড়াল। এবার মেগা অকশন থেকে ১১.৭৫ কোটি টাকায় স্টার্ককে দলে নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কর্তারা। তাঁর দাম তিনি এই ম্যাচে দিয়ে দিলেন। আর খেলা দেখে কেকেআর কর্তারা নিশ্চয় আফসোস করেছেন। তাঁরা অকশনে স্টার্কের পিছনে ছুটতে রাজি ছিলেন না। দলে ভাল পেসার না থাকা সত্বেও কেন এমন ভাবনা তার ব্যাখ্যা নেই। এই হতাশা রাজস্থান ম্যাচে স্টার্ককে দেখে নিশ্চয় তাঁদের বেশি হয়েছে।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের