ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে জসপ্রীত বুমরা না খেললে ভারতীয় দল কোথায় গিয়ে দাঁড়াত। প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়ে সবাই বলতেন, এতক্ষণে ভারতীয় দল চাপে পড়ে যেত। হয়তো প্রথম টেস্ট ম্যাচও হাতছাড়া হত।
আসলে বুমরা আছে বলেই ভারতীয় দল মেজাজে আছে। না হলে তারা শুরুতেই শেষ হয়ে যেত। তাই হয়তো সনি টিভির অ্যাঙ্কর কমেন্ট্রি বক্স থেকে দৌড়ে মাঠে যাওয়ার মুহূর্তে দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার তাঁর পথ আগে দাঁড়ালেন। বললেন, আমাদের একটি বার্তা জসপ্রীতের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ওকে বলবে, পুরো সিরিজটা যেন খেলার চেষ্টা করে। আমরা চাই ইংল্যান্ডের মাঠে পাঁচটি টেস্টই বুমরা খেলুক। না হলে সব গরমিল হয়ে যাবে।
সনি টিভির অ্যাঙ্কর সঞ্জনা গনেশন অনেকদিন থেকে এই কাজ করছেন। তারপর বুমরার সঙ্গে আলাপ। বাকিটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। বিয়ে হয়। দুবছর আগে তাঁদের ছেলে অঙ্গাদের জন্ম হয়। সঞ্জনা বলেন, অঙ্গাদ জন্মানোর পর বুমরার খেলা পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। ও এখন দলের ভরসা হয়ে উঠেছে।
এই ভাবনা সঞ্জনার। কিন্তু তার আগেই বুমরাকে ভারতীয় দলে নিয়মিত খেলতে দেখা গিয়েছে। সেদিন থেকেই দলর ভরসা তিনি। তো মাঠে ঢুকে তিনি জসপ্রীত বুমরাকে ধরেন। স্ত্রী ইন্টারভিউ নেবে। তিনি কি সরে দাঁড়িতে পারেন। বুমরা তৈরি ইন্টারভিউ দিতে। সঞ্জনা প্রথমেই বলেন, আমি দুজনের বার্তা নিয়ে তোমার কছে এসেছি। একজন সুনীল গাভাসকর। অন্যজন চেতেশ্বর পুজারা। দুজনেই জানিয়েছেন, তুমি চেষ্টা কর যেন পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলে দেশে ফিরতে পার। বুঝতেই পারছ কেন ওঁরা তোমার কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে। তাঁরাও বুঝে পারছেন, তুমি ন থাকলে ভারতীয় দল চাপে পড়ে যাবে।
বুমরা হাসলেন। তর আগে তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন, এখানে খেলতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। এখানে বেশ ভাল ঠান্ডা। তাই আমি কাহিল হয়ে পড়ছি না। নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগছে। দেখা যাক, এভাবে কতদিন নিজেকে সামনে নিয়ে যেতে পারব।
গাভাসকর, পুজারাউ শুধু নন, তাঁদের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও আশা করেছেন, ইংল্যান্ড বলেই হয়তো বুমরা সহজে কাহিল হয়ে পড়বে না। আমি চাই বুমরা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলুক। ও থাকলে ভারতীয় দল সিরিজে মানসিক দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে শুরু করতে পারবে। না হলে ইংল্যান্ড ম্যাচ ধরে নেবে।
প্রথম টেস্ট শুরুর আগে আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড গাওয়ার বলেছিলেন, ৭৫ ভাগ ফিট থাকলে বুমরা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলে দেবে। জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে সব ক্রিকেটার চায়। বুমরা সহজে হেরে যাওয়ার বান্দা নয়। তাই ড্রেসিরুম ও হোটেলে সাপোর্টস্টাফদের কাজ অনেক বেড়ে যাবে। ওকে সারাক্ষণ মনিটর করে যেতে হবে। তা হলে বুমরার পক্ষে মাঠে নামতে অসুবিধা হবে না।