লিওনেল মেসি রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সকলেই তো চায় মেসির খেলা দেখতে। যথারীতি তিনি মাঠে না নামায় দর্শক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। মার্চে বিশ্বকাপ যোগ্যতামানের খেলায় চোটের কারণে খেলতে পারেননি মেসি। চিলি ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে মেসির খেলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি। কিন্তু ৫৭ মিনিটে মেসিকে নামান কোচ। নিকো পাজের জায়গায় তঁাকে নামানো হয়। যথারীতি ম্যাচের পর মেসিকে পরে নামানো নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন সাংবাদিকরা তঁাকে করে বসেন। প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে স্কালোনি জানিয়ে দেন, মেসিকে নামানোর পরিকল্পনা তঁারও ছিল। বিরতির পর নামাবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। সেইজন্য তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী পরে নামান। “ঠিক করে রেখেছিলাম, বিরতির অনেক পরে মেসিকে মাঠে নামাব। সেইভাবে এগোচ্ছিলাম। ৫৫ মিনিটের মাথায় নিকো চোট পেয়ে বসল। তাই আর অপেক্ষা না করে মেসিকে নামিয়ে দিই। চোট পাওয়া ফুটবলারদের খেলানোর কোনও মানে হয়না। সেইজন্য কোনও ঝঁুকি নিইনি নিকোকে বসাতে।” তবে আর্জেন্টিনার তারকা নেমে যে বিশেষ কিছু করতে পেরেছেন তা নয়। চিলির গোল লক্ষ্য করে দুটো শট নেন। তিনি নামার আগে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল।
আর্জেন্টিনা আগেই বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। ফলে চিলি ম্যাচ তাদের কাছে ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। তাই আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি চাইছেন রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিকে বাড়াতে। সেইজন্য মেসি-লাওতারো মার্টিনেজদের বেঞ্চে রেখে দলকে নামান তিনি। এমন কি ম্যাচের শেষ দিকে ১৭ বছরের ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোকেও নামিয়ে রেকর্ড গড়ে ফেললো আর্জেন্টিনা। কি রেকর্ড? সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি মাঠে নামলেন। তবু আর্জেন্টিনা জিতল ১-০ গোলে। একমাত্র গোলটি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। থিয়াগো আলমাদার পাশ থেকে গোল করে যান তিনি।
১৭ বছরের ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোকে নেমে দেখালেন চমক।
তবে স্কালোনিকে স্বস্তি দিচ্ছে, দলের তরুণদের পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ১৭ বছরের ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোকেও নিয়ে দারুন উচ্ছ্বসিত আর্জেন্টাইন কোচ। বলেই ফেললেন, “ভবিষ্যতে ফ্রাঙ্কো আর্জেন্টিনা দলের সম্পদ হবে। তবে আমরা ঠিক করেছি, রিজার্ভ বেঞ্চকে যতটা সম্ভব খেলাব। যাতে প্রথম একাদশের পরেও রিজার্ভ বেঞ্চকে শক্তিশালী করা যায়।” আসলে লিওনেল স্কালোনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখন প্রথম একাদশ নিয়ে আর ভাবছেন না। এমন কী মেসিকে নিয়েও নয়।