ইংল্যান্ড সফর যত এগিয়ে আসছে ততই বিপাকে পড়ছে ভারত। বিশেষ কের পেস ব্যাটারি বিভাগ সম্পূর্ন বিপর্যস্ত হওয়ার মুখে। যশপ্রীত বুমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তঁাকে যেন তিন টেস্টের বেশি খেলানোর কথা ভাবা না হয়। তার মানে পাঁচ টেস্টে তঁাকে পাওয়ার সম্ভাবনাই থাকলো না। বাকি শোনা যাচ্ছে, মহম্মদ শামিও নাকি ইংল্যান্ড সফরে অনিশ্চিত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল টিম জানিয়ে দিয়েছে, শামিকে লম্বা সফরের জন্য যেন বিবেচনা করা না হয়। বেশিক্ষণ বল করার জায়গায় নেই ৩৪ বছরের পেসার। তাই ধরেই নেওয়া যায় তঁাকে পাঁচ টেস্টে পাওয়া দুষ্কর। যদিও বোর্ড কর্তারা বুঝে উঠতে পারছেন না, বুমরার পর শামিও যদি সরে দঁাড়ান তাহলে ভারতের কপালে অশেষ দুঃখ আছে। তাই কিছু ম্যাচ খেলানোর জন্য হয়তো শেষমেশ ইংল্যান্ডগামী বিমানে তুলে দেওয়া হতে পারে শামিকে।
ভারতীয় নির্বাচকরা চাইছেন ফিট দলকে ইংল্যান্ড সফরে পাঠাতে। যঁারা প্রয়োজনে দীর্ঘ স্পেলে বল করে যেতে পারেন। প্রভাবশালী এক বোর্ড কর্তা আক্ষেপের সুরে বলেছেন, “সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল খেলছে শামি। সমস্যা হল, আইপিএল আর টেস্ট ম্যাচ কখনও এক নয়। যেহেতু আইপিএলে চার ওভার মাত্র বল করতে পারেন একজন বোলার। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে একজন বোলারকে কম করে টানা ১০ ওভার বল করানোর চেষ্টা করেন দলের অধিনায়ক।” প্রশ্ন হল, যদি শামি না যান তাহলে ভারতীয় দলের পেস বিভাগ সামলাবে কে বা কারা? আপাতত দুজনের নাম বেশি করে ভেসে উঠেছে। এক, বঁা হাতি পেসার অর্শদীপ সিংহ। দুই, হরিয়ানার ডান হাতে পেসার অংশুল কাম্বোজ। ভারতের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি ৭৪ উইকেট শিকারির দলে আছেন। খেলেছেন মাত্র ২২টা ম্যাচ। অন্যদিকে অর্শদীপ সিং ভারতের বোলিং বিভাগে ডার্ক হর্স হতে চলেছেন। যেহেতু গতবার তিনি কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছিলেন কেন্টের হয়ে। তাই অর্শদীপকে নিয়েও ভাবনা রয়েছে ভারতীয় বোর্ডের। ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় এ দলে রাখা হয়েছে কাম্বোজকে। তাই তঁাকে আগেই দেখে নেওয়া যেতে পারে।
শামির আরও একটা সমস্যা হল, গতবছর তঁার গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। প্রায় এক বছর তিনি ক্রিকেট আঙীনায় ছিলেন না। টি-২০ ফরম্যাটে তিনি ফিরে এসেছেন ঠিকই। কিন্তু ভারতের হয়ে ইদানীং তঁাকে খেলতেও দেখা যায়নি। বিশেষ করে গত বছর অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপ, এমন কী সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতেও খেলতে পারেননি। তাই নির্বাচকরা চাইছেন আহত ঘোড়াকে নিয়ে যুদ্ধে যেতে। সেইজন্য ধরে নেওয়া যায় শনিবার ইংল্যান্ড সফরের দল নির্বাচনের সময় নির্বাচকদের মাথা ঘামাতে হবে পেস বিভাগ নিয়ে। এখন শনিবার অব্দি না তাকিয়ে ছাড়া উপায় নেই।