তাঁকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না। একসময় নিউজিল্যান্ড পেস বোলিং অ্যাটাককে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার রিচার্ড হ্যাডলির পর দেশে তাঁকে নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা হত। সেই শ্যেন বন্ড এখন রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং কোচ। এর আগে আইপিএলে কেচিং করানোর অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে ভালই তাঁর অভিজ্ঞতা। শনিবার দুপুরে ইডেনে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এলেন তিনি। বিভিন্ন দলের বোলারদের নিয়েই বেশি আলোচনা। তারই মধ্যে চলে এল বৈভব সূর্যবংশী। না এসে পারে। এখন ভারতীয় ক্রিকেটে বৈভবই তো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাই যাঁরাই আসুন না কেন, সামনে বৈভব আসবেন।
তো বৈভব নিয়ে কি বলছেন বন্ড! তিনি বলেন, বৈভবকে এখনই আলদা করে টিপস দেওয়ার দরকার নেই। ও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ওকে নিজের মতো করে খেলতে দেওয় উচিত। এককথায় বৈভব নিয়ে কিচু বলতে গেল বলতে হয়, ও অসাধারন। ওর মধ্যে সব গুন আছে। ওকে নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে গাইড করছি। এখনই বৈভবকে পেশাদারিত্বের চাপ দেওয়ার দরকার নেই। আপনার শুনলে অবাক হবেন, আমার নিজের ১৬ বছরের ছেলে আছে। বৈভব ওর থেকেও ছোট।
বন্ডের কথায় বোঝা গেল, রাজস্থান শিবির বৈভবকে নিয়ে খোশ মেজাজে আছে। তাঁরা ভাবতেই পারেননি যে মাঠে নেমে এভাবে সবাইকে অবাক করে দেবে। কেকেআর নিয়েও কথা বললেন তিনি। তাঁর কথায় কেকেআরের ব্যাটিং ভাল। ওদের স্পিনারদের নিয়ে আলাদ করে কথা বলার কিছু নেই। তবে দিনের খেলা। প্রচন্ড গরমে দিনে খেলা কঠিন। তবে ব্যাপারটি চ্যালেঞ্জিং। উইকেটও তাই। এই উইকেটে বড় রন করে ম্যাচ ধরে রাখা সহজ কাজ নয়।
বন্ড বলেই আইপএলে পেসারদের নিয়ে কথাও উঠল। তিনি বুমরাকে টেনে আনলেন। বলছিলেন, বুমরা দরুন কামব্যাক করেছে। রানাও দারুন। ওর মধ্যে ধারাবাহিকতা আছে। আমাদের দলকে প্রথমদিন থেকে পেস বোলিংকে নেতৃত্ব দিচ্ছে জোফ্রা আর্চার। এক হাতে পেস বোলিংকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ভাল টাচে আছে। আমার তো ভারতীয় দলের আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে জোফ্রা ভাল পারফর্ম করবে। সেই বিশ্বাস দলকে এখনই দিতে পারছে।