যশস্বী জয়সওয়ালের(Yashasvi Jaiswal) দ্বিশতরান হাতছাড়া হলেও, ভারতের(India Team) কিন্তু বড় রানে পৌঁছতে খুব একটা বেশি অসুবিধা হয়নি। দ্বিতীয় দিন শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই ম্যাচেও যে ভারতীয় দল বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রথম দিনই ভারতের বড় রানের ঝলকটা পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন ১৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। সঙ্গে ছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তবে দ্বিতীয় দিন শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে হয় যশস্বীকে। রান আউট হয়ে ১৭৫ রানে থামতে হয়েছিল তাঁকে। তবে ভারতের রানেরগতি থমতে থাকেনি। শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করেই বড় রানের পথে এগিয়ে যেতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। একা হাতেই কার্যত রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা শুরু করেন শুভমন গিল।
এদিন কেরিয়ারের আরও একটা সেঞ্চুরি ইনিংস পেলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। ক্যারিবিয়ান বোলারই এদিন শুভমন গিলের সামনে সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। ১২৯ রানে শেষপর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারত ৫১৮ রানে পৌঁছনোর পরই ইনিংস ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক।
প্রথম ম্যাচে ইনিংসে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচেও সেই লক্ষ্যেই যে রয়েছে ভারতীয় দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কথা ভেবেই ডিক্লেয়ারও দিয়েছিলেন শুভমন গিল। এবার পরীক্ষাটা ছিল বোলারদের।
ভাঙা পিচ। আর সেখানেই ভারতে হয়ে দাপুটে পারফরম্যান্স রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা তিন উইকেট তিনি একাই তুলে নিয়েছেন এদিন। বুমরাহ(Jasprit Bumrah), সিরাজরা অবশ্য উইকেট তুলতে পারেননি। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের স্পিন আক্রণই ছিল বিধ্বংসী ফর্মে। দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০।