একদিকে দেনার দায়ে জর্জরিত। অন্যদিকে আগামী দিনের দলগঠন কী করে হবে কেউ জানেনা। কেন? ইনভেস্টার টাকা ঢাললে তবেই তো দলগঠনের ভাবনা আসবে। ভঁাড়ে মা ভবানি সেখানে কে আর ভাবতে বসে। অক্টোপাসের মতো যেন ঘিরে ফেলেছে মহামেডান স্পোর্টিংকে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্লাব কর্তারা। তাও আবার এক মাস হয়ে গেল। এমতাবস্থায় শোনা যাচ্ছে মহামেডানে ঢাকা ঢালতে আসছে ময়দানের পরিচিত মুখ। শ্রী সিমেন্ট। গত কয়েকবছর আগে যারা ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করেছিল। ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যের দরুন তঁারা সরে যেতে বাধ্য হন। শোনা যাচ্ছে সেই শ্রী সিমেন্ট নাকি এখন ভরসা মহামেডান কর্তাদের। কথাটা চাউর হয়ে গিয়েছে ময়দানে। যদিও মহামেডানের পক্ষ থেকে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। বরং তঁারা এককথায় উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আমরা যেখানে জানিনা সেখানে যদি শ্রীসিমেন্ট আসে তাহলে তো ভালোই।
গত কয়েকবছর আগে ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করতে যে শ্রীসিমেন্ট এসেছিল তার নেপথ্যে ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এবারও নাকি নবান্ন থেকে তঁার িনর্দেশেই শ্রীসিমেন্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তবে আঁটঘাট বেঁধে এবার আসরে নামবে শ্রীসিমেন্ট। গতবার ইস্টবেঙ্গলের মতো ভুল তারা করতে আগ্রহী নয়। তাই যা শোনা যাচ্ছে, পবিত্র ঈদের দিন শ্রীসিমেন্টের নাম ঘোষণা করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে পারছেন না মহামেডান কর্তারা। যেহেতু দলগঠনের কাজে তাঁরা এখনও সেভাবে নামতেই পারেননি। অথচ আইএসএল খেলা দলগুলো সকলে তলে তলে নেমে পড়েছে ফুটবলারদের ধরতে। বিশেষ করে পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল অনেক আগে থেকে আসরে নেমেছে। মোহনবাগানের কথা ছেড়ে দিতে হবে। যেহেতু তাদের দলগঠনের ব্যাপার কিছু নেই। অধিকাংশ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি পর্ব আগেই শেষ করা আছে। কেউ তিন বছর তো কেউ দু-বছর। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরোয় তাদের অন্তত আগে থেকে নামা উচিত ছিল। অথচ এবার ইনভেস্টার না পাওয়ায় তঁারা নিধিরাম সর্দার হয়ে চুপচাপ বসে। লক্ষ্য সেই নবান্ন। অন্যদিকে পাওনাদারদের ফোন তো আছেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহামেডানের এক প্রথম সারির কর্তা আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, “আমরা এখন কী করব তাই জানিনা। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা মাসখানেক আগে ক্লাবের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি জানিয়ে একটা চিঠি দিয়েছিলাম। সেই চিঠির উত্তর এখনও আমরা কিছু পাইনি। জানিনা তিনি কী করছেন।” শ্রী সিমেন্টের প্রসঙ্গ উঠতে তিনি হাস্যচ্ছলে বলে ফেললেন,“তাই নাকি! আমরা অন্তত জানিনা। রিপোর্টারদের কাছে খবর থাকতেই পারে। তবে এটুকু বলতে পারি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পাশে আছেন। তাই আশাকরছি, ভাল কিছু আমাদের হবে।” দেনা যে বিশাল তাও স্বীকার করে নিলেন তিনি। “মানছি, আমাদের দেনা প্রায় ১৮-২০ কোটি টাকা। এখন আমাদের কাছে দেনাটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দঁাড়িয়েছে। যেই আসুক তাকে আগে এই টাকা শোধ করতে হবে। তারপর আসবে দলগঠন।” এখন বিদেশিদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। সুতরাং চুক্তি অনুযায়ী সেই অর্থ দিতে ক্লাব বাধ্য। তাই সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তাটি জানিয়ে দিলেন, মহামেডানের উচিত হয়নি বিদেশিদের সঙ্গে এক বছরের বেশি চুক্তি করা। যা মোহনবাগান পারে তা যে মহামেডান পারে না তাও কথা প্রসঙ্গে জানিয়ে দিলেন তিনি।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই